খেলেন রক্ষণভাগে, কিন্তু পেনাল্টি কর্নার স্পেশালিস্ট হিসেবেই বেশি পরিচিত মামুনুর রহমান চয়ন। ২০০৬ সালে আন্তর্জাতিক হকিতে অভিষেকের পর জাতীয় দলের অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত হয়েছিলেন তিনি। দীর্ঘদিন অধিনায়কও ছিলেন। প্রায় এক দশক পর সেই চয়নই জাতীয় দল থেকে বাদ! আগামী ৫ থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি ভারতের শিলং ও গৌহাটিতে অনুষ্ঠেয় এসএ গেমসের দলে জায়গা হয়নি তাঁর।

দীর্ঘদিন জাতীয় দলে খেলার পর বাদ পড়ে স্বাভাবিকভাবেই ভীষণ হতাশ চয়ন। রোববার এনটিভি অনলাইনের সঙ্গে কথা বলার সময় সেই হতাশা তিনি লুকিয়ে রাখতে পারেননি, ‘খবরটা শুনে প্রথমে একটু অবাকই হয়েছি। খারাপও লাগছে। ভাবতেই পারিনি এসএ গেমসের দলে থাকতে পারব না। অবশ্য নির্বাচক বা কোচ কারো প্রতি কোনো ক্ষোভ বা অভিযোগ নেই আমার। তাঁদের সিদ্ধান্ত আমি মেনে নিয়েছি। ভবিষ্যতে জাতীয় দলে ফেরার জন্য কঠোর পরিশ্রম করব।’

চয়নকে বাদ দেওয়া সম্পর্কে হকি দলের কোচ মাহবুব হারুনের বক্তব্য, ‘ওর ফিটনেসে বেশ ঘাটতি রয়েছে। তাই সে ম্যাচের পুরোটা সময় খেলতে পারছে না। মূলত সে কারণেই তাকে দলে নেওয়া হয়নি। তা ছাড়া আগের মতো পেনাল্টি কর্নার থেকেও সে গোল পাচ্ছে না।’

এসএ গেমসে হকি দল

সারোয়ার হোসেন (অধিনায়ক), ইমরান হাসান পিন্টু, আশরাফুল ইসলাম, জাহিদ হোসেন, অসীম গোপ, তাপস বর্মণ, রাসেল মাহমুদ জিমি, রেজাউল করিম, ফরহাদ আহমেদ, খোরশেদুর রহমান, হাসান জুবায়ের নিলয়, রোমান সরকার, পুষ্কর খীসা মিমো, মিলন হোসেন, কৃষ্ণ কুমার, ফজলে হোসেন রাব্বি, সাব্বির হোসেন ও মইনুল ইসলাম।