ক্রিকেটারদের ধর্মঘট : ভারত সফরে কী প্রভাব ফেলবে?
আগামী মাসে টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট সিরিজ খেলতে ভারত সফরে যাওয়ার ক্থা বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের। তবে এ সফরের আগে গতকাল সোমবার ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন ক্রিকেটাররা। ফলে টাইগারদের ভারত সফর নিয়ে কিছুটা অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
বেতন-ভাতা বৃদ্ধিসহ ১১ দফা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত সব ধরনের ক্রিকেট খেলা থেকে বিরত থাকার ঘোষণা দিয়েছেন ক্রিকেটাররা।
টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বে মিরপুর বিসিবি একাডেমি মাঠে গতকাল এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, রুবেল হোসেন, নাঈম ইসলাম, এনামুল হক বিজয়, নুরুল হাসান সোহান, নাজমুল ইসলাম অপুসহ সিনিয়র ক্রিকেটারা উপস্থিত ছিলেন।
ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য গত বৃহস্পতিবার সাকিব আল হাসানকে অধিনায়ক করে দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
আগামী ৩ নভেম্বর প্রথম ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে। ৭ ও ১০ নভেম্বর বাকি দুটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে যথাক্রমে রাজকোট ও নাগপুরে। ম্যাচ তিনটি বাংলাদেশ সময় সাড়ে ৬টায় শুরু হবে।
টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষে দুদল দুটি টেস্ট সিরিজে মুখোমুখি হবে। তবে এ সময়ের মধ্যে ক্রিকেটারদের সঙ্গে বোর্ডের সমঝোতা না হলে টাইগারদের ভারত সফর নিয়ে জটিলতা তৈরি হতেও পারে।
বিষয়টি নজরে এসেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডেরও (বিসিবি)। বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজামউদ্দিন চৌধুরী এ ব্যাপারে বলেন, ‘খেলোয়াড়রা আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা এ ব্যাপারে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করব। পরবর্তী বোর্ড সভায় এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বিভিন্ন সময় তাদের নানা দাবি-দাওয়া আসে। আমরা চেষ্টা করি সেসব পূরণ করতে। আজ আমাদের বিষয়টি নজরে এসেছে। অবশ্যই আমরা বোর্ড সভায় আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব।’
অবশ্য খেলোয়াড়দের এই আন্দোলনকে বিদ্রোহ বলতে নারাজ নিজামউদ্দিন চৌধুরী, ‘খেলোয়াড়রা বোর্ডেরই অংশ। যেকোনো বিষয়-সমস্যা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে।’