দুর্ভাগ্য বাংলাদেশের, শেষ মুহূর্তের গোলে জয় হাতছাড়া!
ঘরের মাঠে কাতারের বিপক্ষে হেরে গেলেও দারুণ লড়াই করেছিল বাংলাদেশ। বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে সেই আত্মবিশ্বাস নিয়ে ভারতের মোকাবিলায় নামে লাল-সবুজের দল। দারুণ ফুটবল খেলেও জিততে পারল না তারা। শেষ মুহূর্তের গোলে জয় হাতছাড়া হয় বাংলাদেশের।
কলকাতার যুব ভারতী ক্রীড়াঙ্গনে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচের প্রথমার্ধে ১-০ গোলে এগিয়ে বাংলাদেশ। সে ব্যবধান ধরে রাখে ৮৮ মিনিট পর্যন্ত। কিন্তু শেষ মুহূর্তে কর্নার থেকে একটি গোল খেয়ে যায় জামাল-মামুনুলরা। তাই ১-১ গোলে সমতায় শেষ হয় ম্যাচ।
অবশ্য শুরু থেকেই বেশ আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে ভারত। কয়েকটি গোলের সুযোগও পয়েছিল তারা। কিন্তু প্রথমে কাজে লাগাতে পারেনি একটিও।
শুরুতে বাংলাদেশও দারুণ দুটি সুযোগ হাতছাড়া করে। বিশেষ করে ৩২ মিনিটে একেবারে ভারতের বিপদ সীমানায় ঢুকে পড়েছিলেন এক স্ট্রাইকার। পোস্টে শট নিয়েছিলেন, কিন্তু ভারতের এক ডিফেন্ডার লাল-সবুজের দলের এই প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দেন।
তবে বাংলাদেশ ৪২ মিনিটে এগিয়ে যায় সাদউদ্দিনের গোলে। প্রায় মাঝমাঠ থেকে অধিনায়ক জামাল ভুঁইয়ার ফ্রি-কিক থেকে চমৎকার হেডে লক্ষ্যভেদ করেন এই তরুণ ফরোয়ার্ড।
দ্বিতীয়ার্ধে শুরুতেই ব্যবধান দ্বিগুণ করতে পারত বাংলাদেশ, কিন্তু কাজে লাগাতে পারেননি নাবীব নেওয়াজ জীবন। তাঁর শট বাইরে দিয়ে চলে যায়।
তবে ম্যাচের ৫২ মিনিটে বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় ক্রসবার। বক্সের বাইরে থেকে মোহাম্মদ ইব্রাহিমের দুর্দান্ত শট ক্রসবারে লেগে ফিরে না এলে গোল হতেও পারত।
৭৩ মিনিটে আরেকটি গোল প্রায় পেয়েই গিয়েছিল বাংলাদেশ, নাবীব নেওয়াজ জীবনের শট পোস্টে ঢোকার আগ মুহূর্তে রক্ষা করেন এক ভারতীয় ডিফেন্ডার।
তবে ৮৮ মিনিটে ডিফেন্ডার আদিল খানের গোলে ম্যাচে হার এড়ায় ভারত।
এদিকে মুখোমুখি লড়াইয়ে ভারতের বিপক্ষে বেশ পিছিয়ে বাংলাদেশ। এর আগে ২৫টি ম্যাচের ১২টিতেই হেরেছে তারা। জয় মাত্র তিটিতে। বাকি ম্যাচগুলো ড্র হয়েছে। চলতি বাছাই পর্বে এখনো জয় পায়নি লাল-সবুজের দল। আগের দুটি ম্যাচই হেরেছে তারা।
যুব ভারতী ক্রীড়াঙ্গনে শেষ ১৯৮৫ সালে ভারতের বিপক্ষে খেলেছিল বাংলাদেশ। সেটাও ছিল বিশ্বকাপের বাছাই পর্বের ম্যাচ। ওই ম্যাচে ২-১ ব্যবধানে হেরেছিল বাংলাদেশ।
ভারতের বিপক্ষে সবশেষ জয়ের স্বাদ বাংলাদেশ পেয়েছিল ২০০৩ সালে, সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে। এরপর ১৬ বছর পেরিয়ে গেলেও প্রতিবেশীদের হারাতে পারেনি লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। এই সময়ে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে অনেক এগিয়ে ভারত বর্তমানে রয়েছে ১০৪তম স্থানে, বাংলাদেশের অবস্থান ১৮৭তম।
বাংলাদেশ একাদশ : আশরাফুল ইসলাম রানা, রহমত মিয়া, ইয়াসিন খান, জামাল ভুঁইয়া, বিপলু আহমেদ, নাবীব নেওয়াজ জীবন, সোহেল রানা, মোহাম্মদ ইব্রাহিম, রিয়াদুল হাসান, রায়হান হাসান ও সাদউদ্দিন।