গত বিশ্বকাপের ফাইনালে নির্ধারিত ৫০ ওভার ও সুপার ওভারে ম্যাচ টাই হয়েছিল। পরে বাউন্ডারি-ওভার বাউন্ডারিতে এগিয়ে থাকার সুবাদে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল স্বাগতিক ইংল্যান্ড। বিষয়টি নিয়ে তখন বেশ বির্তক তৈরি হয়েছিল।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) এমন নিয়ম বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আইসিসি নতুন নিয়ম হচ্ছে, আইসিসির কোনো টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল বা ফাইনালে সুপার ওভার টাই হলে আবারও সুপার ওভারে খেলা হবে। সেখানেও টাই হলে, আবারও সুপার হবে। এভাবে যদি প্রতি সুপার ওভারে টাই হয়, তবে সুপার ওভার চলতেই থাকবে। শেষ পর্যন্ত সুপার ওভারে যে দল জিতবে তারাই ম্যাচে জয়ী হবে।

গতকাল সোমবার দুবাইয়ে আইসিসির সভায় এমন সিদ্বান্ত নেওয়া হয়েছে। এক বিবৃতিতে আইসিসি জানায়, ‘আইসিসি ক্রিকেট কমিটির সুপারিশ মেনে সুপার ওভার রেখে দেওয়া হচ্ছে। তবে সুপার ওভারে কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে। আইসিসির কোনো টুর্নামেন্টের গ্রুপ পর্বে কোনো ম্যাচ টাই হলে পয়েন্ট ভাগাভাগি হবে। তবে সেমিফাইনাল বা ফাইনালে সুপার ওভার টাই হলে আবার সুপার ওভার হবে। এভাবে চলতে থাকবে, যতক্ষণ না পর্যন্ত ম্যাচটির ফল নির্ধারিত হয়।’

লর্ডসে গত ১৪ জুলাই বিশ্বকাপ ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিলো ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে ৫০ ওভারে আট উইকেটে ২৪১ রান করে নিউজিল্যান্ড। জবাবে ৫০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৪১ রান করে ম্যাচ টাই করে ইংলিশরা। ফলে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচটি সুপার ওভারে গড়ায়। সেখানে প্রথমে ব্যাট করে বিনা উইকেটে ১৫ রান করে ইংল্যান্ড। জবাবে এক উইকেটে ১৫ রান করে নিউজিল্যান্ড। ফলে সুপার ওভারও টাই হয়। কিন্তু বিশ্বকাপে আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী ম্যাচে সবচেয়ে বেশি বাউন্ডারি-ওভার বাউন্ডারি থাকাতেই জয়ী হয় ইংল্যান্ড। যা নিয়ে বিশ্বজুড়ে শুরু হয় বিতর্ক। শেষ পর্যন্ত এই বির্তকিত নিয়ম বাদ দিয়ে নতুন পথ বের করল আইসিসি।