২০১৮ সালে টেস্টে অভিষেক। দেশের জার্সিতে মাত্র চারটি টেস্ট খেলেছেন মায়াঙ্ক আগারওয়াল। চার ম্যাচে তাঁর ইনিংসগুলো ছিল যথাক্রমে ৭৬, ৪২, ৭৭, ৫, ১৬, ৫৫, ৪। সাত ইনিংসের মধ্যে তিনটিতেই পেয়েছেন হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ। তবে এবার যা করলেন তা রীতিমত অবিশ্বাস্য। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নিজের পঞ্চম টেস্টে ২১৫ রানের এক মহাকাব্যিক ইনিংস খেললেন ডান হাতি এই ব্যাটসম্যান।

গতকাল বুধবারই সেঞ্চুরির দেখা পেতে পারতেন মায়াঙ্ক। কিন্তু বেরসিক বৃষ্টি সেটা হতে দেয়নি। সেঞ্চুরি থেকে ১৬ রান দূরে থেকে প্রথমদিন শেষ করেন তিনি। আজ বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় মাঠে নেমে সুযোগ মিস করেননি তিনি। তবে এবার আর শুধু সেঞ্চুরিই নয়, নিজের প্রথম সেঞ্চুরিকে ডাবলে রূপ দিয়ে সাজঘরে ফিরলেন এই ওপেনার।

মায়াঙ্কের ২১৫ রানের মহাকাব্যিক ইনিংসটিতে ছিল ২৩ বাউন্ডারি, ৬টি ওভার বাউন্ডারি। খেলেছেন ৩৭১ বল। দেশের মাটিতে দুর্দান্ত এই ইনিংসে একাদিক নজির গড়েছেন তিনি। ২৮ বছর বয়সি এই ব্যাটসম্যান অষ্টম টেস্ট ইনিংসে পেলেন দ্বিশতক। এরআগে তৃতীয় টেস্ট ইনিংসে দুশো করেছিলেন করুণ নায়ার। বিনোদ কাম্বলির টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরি করতে লেগেছিল চার ইনিংস। এই দু’জনের পরেই আছেন সুনীল গাভাস্কার। কিংবদন্তি ওপেনারের লেগেছিল আট টেস্ট ইনিংস। মায়াঙ্ক আজ স্পর্শ করলেন গাভাস্কারকে।

এছাড়া রোহিতের সঙ্গে ওপেনিং জুটিতে ৩১৭ রান তোলেন মায়াঙ্ক। যেটা দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে যে কোনো জুটিতে এটি ভারতের সর্বোচ্চ রান। আগের সেরা ছিল ২০০৮ সালে চেন্নাই টেস্টে দ্বিতীয় উইকেটে রাহুল দ্রাবিড় ও বীরেন্দর শেবাগের ২৬৮ রান।

রোহিত-মায়াঙ্কের বিশাল জুটিতে বিশাখাপত্তম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৫০২ রানে ইনিংস ঘোষণা করে ভারত। স্বাগতিকদের এই বিশাল রান পাহাড়ের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমেই তিন উইকেট হারিয়ে ফেলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তিন টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে ৩৯ রানে দ্বিতীয় দিন শেষ করে প্রোটিয়ারা। ২৭ রান নিয়ে উইকেটে আছেন ডিন এলগার। তাঁর সঙ্গে ২ রানে অপরাজিত আছেন টেম্বা বাভুমা। ফলোঅন এড়াতে এখনও ২৬৪ রান দরকার সফরকারীদের।