জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে সাকিবের নজর আফগান ম্যাচে
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দারুণ জয়ে সিরিজের ফাইনালে খেলা নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। দলের জন্য তা অনেকটাই স্বস্তির খবর। ফাইনালের আগে আফগানিস্তানের সঙ্গে আবার মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ। যাদের সঙ্গে ফাইনালেও লড়বে লাল-সবুজের দল। অনেকটাই অনুষ্ঠানিকতার ম্যাচটি সাকিবের কাছে কম গুরুত্ব নয়।
ম্যাচ শেষে বলেছেনও সাকিব, ‘পরের ম্যাচ জিততে পারলে ফাইনালে যাওয়ার আগে মানসিকভাবে আমাদের অনেকটাই এগিয়ে দেবে। টি-টোয়েন্টিতে তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
আর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জয় সম্পর্কে বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, ‘আমরা ব্যাটিংয়ে ভালো শুরু করেছিলাম, কিন্তু শেষটা তেমন হয়নি। অবশ্য বোলাররা নিজেদের সামর্থ্যের সেরাটা দিয়ে বল করেছেন, ফিল্ডাররাও দারুণ ছিলেন।’
ত্রিদেশীয় সিরিজে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে ৩৯ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। এই জয়ের সুবাদে চলমান সিরিজের ফাইনালে খেলা নিশ্চিত করল সাকিব আল হাসানের দল। আর টানা তিন পরাজয়ে সিরিজ থেকে বিদায় নিশ্চিত হলো জিম্বাবুয়ের।
চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ওভারে সাত উইকেটে ১৭৫ রান সংগ্রহ বাংলাদেশ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ওভারে ১৩৬ রানে থামে জিম্বাবুয়ের ইনিংস।
বড় লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়ে জিম্বাবুয়ে। ইনিংসের প্রথম ওভারে বাংলাদেশকে সাফল্য এনে দেন সাইফউদ্দিন। ফিরিয়ে দেন ওপেনার ব্রেন্ডন টেইলরকে। দ্বিতীয় ওভারে চাকাভাকে ফেরান সাকিব। চতুর্থ ওভারে আবারো জিম্বাবুয়ে শিবিরে আঘাত হানে বাংলাদেশ। এবারের নায়ক ২০১৭ সালের পর টি-টোয়েন্টিতে ফেরা শফিউল ইসলাম। নিজের প্রথম ওভারেই ফিরিয়ে দেন উইলিয়ামসকে।
দ্রুত তিন উইকেট হারানো জিম্বাবুয়ে ৪৪ রানের মধ্যে হারায় আরো তিন উইকেট। ৪৪ রান থেকে ৬৬ রানে যেতে হারায় সাত উইকেট। দ্রুত টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের হারানোর চাপ কাটিয়ে রানের গতি আর বাড়াতে পারেনি সফরকারীরা। তাতে নির্ধারিত ওভারে শেষ পর্যন্ত ১৩৬ রানে থামে জিম্বাবুয়ের ইনিংস।
বল হাতে দুর্দান্ত ছিলেন বাংলাদেশি বোলাররা। অভিষেকে রাঙিয়েছেন আমিনুল ইসলাম বিপ্লব। চার ওভার বোল করে নিয়েছেন দুটি উইকেট। তিন উইকেট করে নিয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান ও শফিউল ইসলাম। একটি করে নেন সাইফউদ্দিন ও সাকিব।