তীরে এসে তরি ডুবল বাংলাদেশের
প্রথমে বল করে ভারতকে মাত্র ১০৬ রানে আটকে দিয়েছিল বাংলাদেশ। অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে তাই সহজ লক্ষ্যই পায় লাল-সবুজের দলের যুবারা। অবশ্য এই রান তাড়া করেও জিততে পারেনি আকবর-সাকিবরা। তীরে এসে তরি ডুবিয়েছে তারা, হেরেছে পাঁচ রানে।
চোট লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দলীয় মাত্র ১৬ রানে চার উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। সে ধারাবাহিকতায় ৭৮ রানে আট উইকেট হারিয়ে চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে তারা। তবে নবম উইকেট জুটিতে তানজিম হাসান সাকিব ও রাকিবুল হাসান কিছুটা আশা জাগিয়েও পারেননি। ১০১ রানে ইনিংস গুটিয়ে নেয় বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ সংগ্রহ অধিনায়ক আকবর আলীর। তিনি ৩৬ বলে ২৩ রান করেন। আর মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী ২১ রান করেন।
এর আগে বল হাতে দুর্দান্ত ছিলেন মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী ও শামীম হোসেন। দুজনেই নেন তিন উইকেট করে। তাই শিরোপা যুদ্ধে ৩২.৪ ওভারেই ভারতের যুবাদের মাত্র ১০৬ রানে আটকে দিয়েছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল।
কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে ফাইনালে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমেই বিপাকে পড়ে যায় দলটি। দলীয় ৮ রানে হারিয়ে ফেলে গুরুত্বপূর্ণ তিন টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানকে। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে অবশেষে ১০৬ রানে গিয়ে থামে ভারতের যুবারা।
ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৩ বলে ৩৭ রান করেন কারান লাল। অধিনায়ক জুয়েল ৫৭ বলে ৩৩ রান করেন। অন্যরা ছিলেন আসা-যাওয়ায়।
ছয় ওভার বল করে মাত্র আট রানে তিন উইকেট নিয়েছেন শামীম হোসেন। বাঁহাতি পেসার মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী তিন উইকেট নেন ১৮ রান খরচায়।