ব্যর্থতা ভুলে টি-টোয়েন্টিতে নজর সাকিবের
টেস্ট ক্রিকেটে একেবারেই নবীন আফগানিস্তানের কাছে চট্টগ্রাম টেস্টে ২২৪ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। মাত্র দুই টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে আসা আফগানিস্তান, ১১৪ ম্যাচ খেলা বাংলাদেশকে হারিয়ে দিয়েছে। ঘরের মাঠে এই হার আসলেও লজ্জার। অবশ্য এই ব্যর্থতা ভুলে আসন্ন ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে মনোযোগ দিতে চান বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
আগামী বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সে মিশনকে সামনে রেখে আসন্ন ত্রিদেশীয় সিরিতে ভালো করতে চান সাকিব। আফগানিস্তান ও জিম্বাবুয়েকে নিয়ে আগামী শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে ত্রিদেশীয় সিরিজ।
২০০০ সালে টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার পর প্রায় ১৯ বছরে ১১৪টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। টেস্টে উন্নতিটা খুব একটা হয়নি বাংলাদেশের, আফগানিস্তান তা ভালোভাবে বুঝিয়ে দিল টাইগারদের। ম্যাচে বেশিরভাগ সময় আধিপত্য বিস্তার করে খেলেছে আফগানিস্তান।
কিন্তু পঞ্চম দিনের শুরু থেকে বৃষ্টির দাপট চলতে থাকে। শেষ পর্যন্ত বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে দ্বিতীয় দফায় খেলা শুরু হয়। বৃষ্টি বা আলো স্বল্পতা না হলে ১৮ দশমিক ৩ ওভার খেলা হবে, এমন সমীকরণ ঠিক হয়।
বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের সঙ্গে ছিলেন সৌম্য সরকার। আর টেল-এন্ডারে ছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম ও নাঈম হাসান।
কিন্তু আফগানিস্তানের দুই স্পিনার রশিদ খান ও জহির খানের বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি বাংলাদেশের চার ব্যাটসম্যান। এই চার উইকেটের তিনটিই নিয়েছেন রশিদ। ৪৯ রানে ছয় উইকেট নিয়ে আফগানিস্তানকে অবিস্মরণীয় জয় এনে দেন প্রথমবার টেস্ট অধিনায়কত্ব করতে নামা স্পিনার। এ ম্যাচ দিয়ে সবচেয়ে কম বয়সে টেস্টে অধিনায়কত্ব করার রেকর্ডও গড়েন তিনি।
ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান বলেন, ‘২০ বছর ধরে টেস্ট খেলার পর এখন আর বলতে পারি না, আমরা এখনো একটা প্রক্রিয়ার মধ্যে আছি। তবে এমন সাফল্যের যোগ্য দাবিদার আফগানিস্তান।’
এমন ব্যর্থতা দ্রুত ভুলে আসন্ন ত্রিদেশীয় সিরিজে মনোযোগী হতে বললেন সাকিব। তিনি বলেন, ‘যত দ্রুত সম্ভব এই ম্যাচ আমাদের ভুলে যাওয়া প্রয়োজন। সামনে টি-টোয়েন্টি সিরিজ। এই সিরিজের দিকে নজর দিতে হবে আমাদের। অবশ্য টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে আফগানিস্তান খুবই ভালো দল। তা ছাড়া আগামী বছরই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তাই এই ফরম্যাটে আমাদের ভালোভাবে নজর দেওয়া জরুরি।’