সাফল্যের অনুভূতি ছুঁয়েছে তাইজুলকেও
মাঠে নামার আগে মাত্র এক উইকেটের প্রয়োজন ছিল। চট্টগ্রাম টেস্টে বল হাতে নেমেই সেই লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেললেন বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম। তুলে নিলেন বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে কম টেস্ট ম্যাচ খেলে নিজের শততম টেস্ট উইকেট।
আফগানদের দলীয় ১৯ রানের মাথায় বাংলাদেশকে প্রথম সাফল্য এনে দেন তাইজুল। বাঁহাতি এই স্পিনারর দারুণ এক ডেলিভারিতে ইহসানউল্লাহকে ব্যক্তিগত ৯ রানের মাথায় বোল্ড করেন। এর মাধ্যমে টেস্ট ক্রিকেটে উইকেট শিকারের সেঞ্চুরি করলেন তিনি।
ব্যক্তিগত ২৫তম টেস্ট খেলতে নেমে শততম টেস্ট উইকেটের দেখা পান তাইজুল। তাতে তাইজুল পেছনে ফেলেন বাঁহাতি স্পিনার সাকিব আল হাসানকে। ব্যক্তিগত ২৮তম টেস্টে বাংলাদেশের পক্ষে ১০০ উইকেট শিকার করেছিলেন সাকিব।
বাংলাদেশের হয়ে এর আগে ১০০ উইকেট ছুঁতে পেরেছিলেন আর কেবল দুজন- মোহাম্মদ রফিক ও সাকিব আল হাসান। রফিক ৩৩ টেস্ট খেলে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ১০০ উইকেট নিয়েছিলেন।
এমন রেকর্ডে উচ্ছ্বসিত তাইজুল। ম্যাচ শেষে বললেন, ‘আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সবচেয়ে মর্যাদার জায়গা হচ্ছে টেস্ট ক্রিকেট। ব্যক্তিগতভাবে এই অর্জনে অনেক খুশি হয়েছি। অবশ্য এতে সবাই খুশি হবে। ভালো লাগছে খুব।’
চার স্পেশালিস্ট স্পিনার। এ ছাড়া মাহমুদউল্লাহ, মোসাদ্দেক হোসেন ও মুমিনুল হকসহ মোট সাতজন স্পিনার নিয়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট খেলতে নামে বাংলাদেশ। কিন্তু সাত স্পিনারের ফায়দা তুলতে পারেনি স্বাগতিকরা। উল্টো চট্টগ্রামের স্পিন নির্ভর উইকেটে ব্যাটিং দাপট দেখালেন রহমত শাহ ও আসগর আফগানরা।
দিন শেষে তাইজুলের কাছে প্রশ্ন কোনো অভিজ্ঞ পেসার ছাড়া লড়াই কঠিন হয়ে গেল কি না? তাইজুলের জবাব, ‘এই ম্যাচে কোনো পেস বোলার ছাড়া খেলতে নেমেছি আমরা। তাতে কঠিন কিছু হবে বলে আমি মনে করি না। আমরা কিন্তু এভাবে আগেও খেলেছি।’
উল্লেখ্য, রহমত শাহ ও আসগর আফগানের ব্যাটে চড়ে চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিন দারুণ কাটে আফগানিস্তানের। পাঁচ উইকেটে ২৭১ রান নিয়ে দিন শেষ করে সফরকারীরা। ৮৮ রানে অপরাজিত ছিলেন আসগর আফগান।