হতাশায় দিন কাটল বাংলাদেশের
দলে চার স্পেশালিস্ট স্পিনার। এ ছাড়া মাহমুদউল্লাহ, মোসাদ্দেক হোসেন ও মুমিনুল হকসহ মোট সাতজন স্পিনার নিয়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট খেলতে নামে বাংলাদেশ। কিন্তু সাত স্পিনারের ফায়দা তুলতে পারেনি স্বাগতিকরা। উল্টো চট্টগ্রামের স্পিন নির্ভর উইকেটে ব্যাটিং দাপট দেখালেন রহমত শাহ ও আসগর আফগানরা।
সেঞ্চুরি তুলে নিলেন রহমত। ১০২ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেললেন তিনি। আর আসগর অপরাজিত ৮৮ রান করেন। তাতে প্রথম দিন শেষে পাঁচ উইকেটে আফগানিস্তানের সংগ্রহ ২৭১ রান।
চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হেরে ফিল্ডিংয়ে নামা বাংলাদেশ শুরুতে বেশ নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেছে। আফগানিস্তানকে বিপদে ফেলতে একটু ব্যতিক্রমী বোলিং আক্রমণ সাজান অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। প্রথম চার ওভারে তিনজন স্পিনার ব্যবহার করেন তিনি। তাতে সাফল্যও আসে। আফগানদের দলীয় ১৯ রানের মাথায় তাইজুলের হাত ধরে আসে প্রথম সাফল্য। বাঁহাতি স্পিনারের দারুণ এক বলে ইহসানউল্লাহকে ব্যক্তিগত ৯ রানে বোল্ড করে নিজের শততম টেস্ট উইকেট তুলে নেন তিনি। এর মাধ্যমে টেস্টে ক্রিকেটে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে দ্রুততম উইকেট সেঞ্চুরি করেন এই বাঁহাতি স্পিনার।
দ্বিতীয় ঘণ্টায়ও আফগান শিবিরে আঘাত হানেন তাইজুল। ওপেনার ইব্রাহিম জাদরানকে (২১) লংঅফে মাহমুদউল্লাহর হাতে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন তিনি। লাঞ্চের আগমুহূর্তে বৈচিত্র্যের জন্য মাহমুদউল্লাহকে আক্রমণে আনেন সাকিব। বল হাতে এসেই বাংলাদেশকে সাফল্য এনে দেন এই অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার। তুলে নেন আফগানদের তৃতীয় উইকেট।
তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া আফগানদের হাল ধরেন রহমত শাহ। তুলে নেন টেস্ট ক্রিকেটে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি। এর আগে ভারতের বিপক্ষে অভিষেক টেস্ট ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষেও পঞ্চাশ ছাড়ানো দুটি ইনিংস খেলেছিলেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। দ্বিতীয় সেশনে আজগরকে নিয়ে দারুণ সময় পার করেন তিনি।
তরুণ স্পিনার নাঈম হাসান তৃতীয় সেশনের শুরুতে জোড়া আঘাত হানলে বাংলাদেশ কিছুটা সময়ের জন্য ম্যাচে ফিরেছিল। তবে ষষ্ঠ উইকেটে দারুণ দৃঢ়তা দেখান আসগর ও আফসার জাজাই জুটি। দুজনে মিলে ৭৪ রানের জুটি গড়ে শুধু দলের বিপর্যয়ই এড়াননি বড় সংগ্রহের পথ দেখান। দিন শেষে আসগর ৮৮ ও আফসার ৩৫ রানে অপরাজিত রয়েছেন।
বাংলাদেশের পক্ষে বল হাতে সাফল্য পান তাইজুল ইসলাম ও নাঈম হাসান। তাইজুল ৩১ ওভারে ৭৩ রান দিয়ে দুই উইকেট পান। নাঈম ১৩ ওভারে ৪৩ রান খরচায় দুই উইকেট তুলে নেন। এক উইকেট পান মাহমুদউল্লাহ।