তখন হৃদস্পন্দন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল আর্চারের!
লিডসে তৃতীয় টেস্টে হয়তো খেলতে পারবেন না স্টিভ স্মিথ। তাঁর বদলে মারনাস লাবুশেন খেলতে পারেন। লর্ডসে দ্বিতীয় টেস্টে জফরা আর্চারের মারাত্মক বাউন্সারে মাঠেই লুটিয়ে পড়েছিলেন স্মিথ। দলের অন্য খেলোয়াড়রা এই অসি ব্যাটসম্যানের কাছে ছুটে এলেও আর্চার আসেননি। আর এই কারণেই অনেকেই তাঁকে এক হাত নিয়েছেন।
বিষয়টি নিয়ে এবার মুখ খুলেছেন আর্চার। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘স্মিথকে আহত করার কোনো পরিকল্পনা ছিল না আমাদের। হ্যাঁ, আমরা দ্রুত উইকেট নিতে চেয়েছিলাম। তবে এভাবে আহত করে নয়। স্মিথ যখন পড়ে গিয়েছিলেন দেখেই আমার হৃদস্পন্দন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ওকে উঠে দাঁড়াতে দেখে আমরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছিলাম। কেউই দেখতে চায় না, স্ট্রেচারে করে কোনো খেলোয়াড় মাঠ ছাড়ছে।’
এর আগে পাকিস্তানের সাবেক তারকা পেসার শোয়েব আখতার আর্চারের সৌজন্যবোধ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। স্মিথকে সৌজন্যতা না দেখানোর জন্য আর্চারকে এক হাত নিয়েছেন তিনি।
গতকাল রোববার টুইটারে শোয়েব আখতার লেখেন, ‘বাউন্সার খেলারই অংশ। কিন্তু যখন কোনো বোলার ব্যাটসম্যানকে মাথার ওপর বাউন্সার দেয়, আর সে বলের আঘাতে পড়ে যায় ব্যাটসম্যান, তাহলে বোলারের অবশ্যই তাঁর কাছে যাওয়া উচিত। একটা সৌজন্য বোধের প্রয়োজন। আর্চার এটা মোটেই ভালো করেনি। যখন স্মিথ যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিল ও তখন সরে এসেছিল। আমি এসব ক্ষেত্রে সবসময় ব্য়াটসম্যানের কাছে ছুটে যেতাম।’
প্রথম ম্যাচে দুই ইনিংসে ব্যাক টু ব্যাক সেঞ্চুরি করা স্মিথ, দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসেও সেঞ্চুরির পথেই ছিলেন। কিন্তু আর্চারের বাউন্সার আঘাত হানে স্মিথের ঘাড়ে। বাউন্সারে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘ সময় মাটিতে লুটিয়ে পড়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান। তখন ৮০ রানে ব্যাট করছিলেন তিনি।
দলের ফিজিও মাঠে এসে স্মিথের শুশ্রুষা করেন। এরপর স্মিথ ফিজিওর কাঁধে ভর দিয়ে ড্রেসিংরুমে ফেরেন। আহত হয়েও মাত্র ৪৫ মিনিট পর ফের ব্যাটিংয়ে নেমে আরও ১২ রান যোগ করেন স্মিথ। মাত্র আট রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেন তিনি।