জম্মু-কাশ্মীর ইস্যুতে আফ্রিদি-গম্ভীরের লড়াই
গতকাল সোমবার জম্মু-কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা বাতিল করে ভারতীয় কেন্দ্রীয় সরকার। রাজ্যসভায় প্রবল হট্টগোলের মধ্যে এই ঘোষণা দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বিষটি নিয়ে সামাজিক যোগযোগমাধ্যমে সামলোচনার ঝড় ওঠে। এরই মধ্যে টুইট যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে পাকিস্তানি সাবেক তরকা ক্রিকেটার শাহীদ আফ্রিদি ও ভারতীয় সাবেক ওপেনার গৌতম গম্ভীরের মধ্যে। ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার নিয়ে আফ্রিদির কটাক্ষ করলে পাল্টা জবাব দেন দিল্লির সাংসদ গম্ভীর।
কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে টুইটারে আফ্রিদি লেখেন, ‘কাশ্মীরিদের প্রাপ্য অধিকার পাওয়া উচিত। আমাদের সবার মতোই ওদেরও স্বাধীনতা প্রাপ্য। বিনা প্ররোচনায় এই আগ্রাসন এবং অপরাধ কাশ্মীরে হয়ে চলেছে, যা মানবতাবিরোধী। এগুলো মনে রাখা দরকার। ট্রাম্পের এ বিষয়ে মধ্যস্থতা করা উচিত!’
এর পাল্টা জবাব দিয়ে গম্ভীর নিজের টুইটারে লেখেছেন, ‘আফ্রিদি তুমি ঠিকই বলেছ। ‘বিনা প্ররোচনায় আগ্রাসন’, ‘মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ’ এসব শব্দ ব্যবহারের জন্য ওর প্রশংসা করা উচিত সবার। তবে ও হয়তো বলতে ভুলে গেছে এসব অপরাধের বেশিরভাগই হয়ে থাকে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে।’
রাষ্ট্রপতির নির্দেশ জারির মধ্য দিয়ে মোদির সরকার বাতিল করে দিল ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা, যা জম্মু-কাশ্মীরকে বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা দিয়েছিল। শুধু তাই নয়, জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যকে দুই টুকরোও করে দেওয়া হলো। রাজ্য থেকে লাদাখকে বের করে তৈরি করা হলো নতুন এক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল, যার কোনো বিধানসভা থাকবে না। জম্মু-কাশ্মীরের পূর্ণাঙ্গ রাজ্যের মর্যাদাও কেড়ে নেওয়া হলো। এখন থেকে তার পরিচিতি হবে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে। তবে তার বিধানসভা থাকবে। দুই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল পরিচালিত করবেন দুই লেফটেন্যান্ট গভর্নর।