দুঃসহ যন্ত্রণা সহ্য করে বিশ্বকাপ খেলেছিলেন আর্চার
পেশিতে অসম্ভব যন্ত্রণা সত্ত্বেও এবারের বিশ্বকাপে একটানা খেলে গিয়েছিলেন জফরা আর্চার। একটা সময় ব্যথানাশক ওষুধ ছাড়া মাঠেই নামতে পারছিলেন না। ইংল্যান্ডের প্রথম বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম নায়ক ছিলেন আর্চার। টুর্নামেন্টে দলের হয়ে সবচেয়ে বেশি ২০ উইকেট নেন তিনিই। নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে ফাইনালে সুপার ওভারে চাপের মধ্যেও মাথা ঠাণ্ডা রেখে ইংল্যান্ডের সাফল্যে দারুণ অবদান রাখেন তিনিই।
বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের পঞ্চম ম্যাচ ছিল আফগানিস্তানের সঙ্গে। আর সেই ম্যাচেই পেশিতে চোট পান আর্চার, যার জের চলে গোটা টুর্নামেন্টে। বলেছেনও, ‘আফগানিস্তান ম্যাচের পর থেকেই টানা ব্যথানাশক ওষুধ খেতে হয়েছে আমাকে। আসলে একটানা খেলা তো, টুর্নামেন্টের মাঝখানে যে এক সপ্তাহ বিশ্রাম নিয়ে একবারে খেলব, তার জো নেই। সাত থেকে দশ দিন ছুটি পেলেই পুরোপুরি সেরে উঠতাম। তবে ভাগ্য ভালো এখন সেরে উঠেছি। একটা সময় তো বেশ খারাপ অবস্থা ছিল।’
টুর্নামেন্টে ইংল্যান্ডের ১১ ম্যাচের প্রতিটিতে খেলেছেন আর্চার। ক্রিস ওকস ও তাঁর নতুন বলের জুটির সামনে ধরাশায়ী হন বাঘা বাঘা ব্যাটসম্যান। লর্ডসে আয়ারল্যান্ডকে যে টেস্টটায় ইংল্যান্ড ১৪৩ রানে হারায়, সেখানে খেলতে না পারলেও অ্যাশেজের জন্য মুখিয়ে আছেন তিনি।
এ ব্যাপারে আর্চার বলেন, ‘টেস্ট ক্রিকেটে কী করতে পারি, সেটা সবাইকে দেখানোর জন্য আমি ছটফট করছি। মনে হয় সাদা বলের থেকে লাল বলে আমার রেকর্ড বেশি ভালো। এবার শুধু সুযোগের অপেক্ষা।’