ওয়াকার-শোয়েবদের চেয়ে এগিয়ে মুস্তাফিজ
মুস্তাফিজকে মারতে গিয়ে ডিপ এক্সট্রা কভারে ক্যাচ দিলেন হারিস সোহেল। সৌম্য সরকার তা তালুবন্দি করলেন। উইকেটটি সারাজীবন মনে রাখবেন ফিজ। এটা যে তার শততম উইকেট।
১০০ তম উইকেটটি পেয়েছেন লর্ডসে! তাও বিশ্বকাপের মঞ্চে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। এতগুলো বিস্ময়ের সঙ্গে আরো একটি বিস্ময় যুক্ত হচ্ছে। মাত্র ৫৪টি ওয়ানডে খেলে ১০০টি উইকেট পেলেন মুস্তাফিজ। সবচেয়ে কম ম্যাচ খেলে শততম উইকেট পেয়েছেন আফগানিস্তানের রশিদ খান। তিনি খেলেছেন ৪৪ ম্যাচ। ওই তালিকায় মুস্তাফিজের আগে আরো আছেন অস্ট্রেলিয়ার মিশেল স্টার্ক, পাকিস্তানের সাকলাইন মুশতাক, নিউজিল্যান্ডের শেন বন্ড। অর্থাৎ মুস্তাফিজের আগে এশিয়ার কোনো পেসার নেই ওই তালিকায়।
ওই তালিকায় মুস্তাফিজের অবস্থান পঞ্চম। ফিজের নিচেই আছেন অস্ট্রেলিয়ার ব্রেট লি, নিউজিল্যান্ডের বোল্ট এবং ভারতের শামি। তাঁরা খেলেছেন যথাক্রমে ৫৫ ও ৫৬টি করে ম্যাচ।
ওই তালিকায় এশিয়ার পেসারদের মধ্যে শীর্ষ দশে আছেন ভারতের মোহাম্মদ শামি ও ওয়াকার ইউনিস। শামির অবস্থান অষ্টম ও ওয়াকারের অবস্থান দশম। ওই তালিকায় আছেন শোয়েব আখতারও। তাঁর অবস্থান ১৫তম। ১০০টি উইকেট পেতে তিনি খেলেছেন ৬০টি ম্যাচ।
বাংলাদেশি বোলারদের এরই মধ্যে পেছনে ফেলেছেন মুস্তাফিজ। বিশ্বকাপে তিনিই প্রথম বাংলাদেশি বোলার যিনি পর পর দুইবার পাঁচ উইকেট নিলেন।
চলতি বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারিদের তালিকায় এখন দ্বিতীয় অবস্থানে মুস্তাফিজ। ৮ ম্যাচে ৭২ ওভার ১ বল করে ২০টি উইকেট নিয়েছেন তিনি। তাঁর আগে আছেন অস্ট্রেলিয়ার মিশেল স্টার্ক। তিনি নিয়েছেন ২৪ উইকেট।