পায়ের ওপর পা তুলে লর্ডসে বাংলার সাকিব
এবারের বিশ্বকাপে ব্যাট হাতে সম্ভবত জীবনের সেরা ফর্মে আছেন সাকিব আল হাসান। দুটি সেঞ্চুরি আর তিনটি ফিফটি করে এরই মধ্যে সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহকের তালিকায় বাংলাদেশের এই অলরাউন্ডার। সাকিবের এমন নজরকাড়া পারফরম্যান্সে মুগ্ধ ক্রিকেট দুনিয়া।
আজ পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের শেষ ম্যাচ। এই ম্যাচে কঠিন সমীকরণের সামনে পাকিস্তান দল। অন্যদিকে নিজেদের সেরাটা দিয়ে জয় ছিনিয়ে আনতে চায় বাংলাদেশ। আর ম্যাচ শুরুর ঠিক আগে আইসিসি তাদের বিশ্বকাপ অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিবের একটি রাজকীয় ছবি আপলোড করেছে।
ছবিতে দেখা যায়, ক্রিকেটের তীর্থ ঐতিহাসিক লর্ডস স্টেডিয়ামে ম্যাচ শুরুর ঠিক আগে ফুরফুরে মেজাজে রাজকীয় ভঙ্গিতে পায়ের ওপর পা তুলে বসে আছেন বিশ্ব ক্রিকেটের পোস্টারবয়।
এদিকে, কয়েক দিন আগে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ সাকিবকে নিয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছে, যার শিরোনাম ‘বাংলাদেশ তারকা সাকিব আল হাসান কেন অবিসংবাদিতভাবে ২০১৯ বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড়’।
এরপর বিশ্লেষণের শুরুতে বলা হয়েছে, ‘সাকিবকে একটু খাটো করে দেখার প্রবণতা আছে। বিষয়টি কৌতূহল-জাগানিয়া। কারণ, সে যাদের সঙ্গে কিংবা বিপক্ষে খেলছে, সে জন্য তাকে খাটো করে দেখা হয় না। তার দুর্দান্ত আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের উত্থান দেখা ভক্তদের জন্যও নয়। কিংবা আইপিএলে অসাধারণ প্রত্যাবর্তন অথবা ২০১৫ সালে আইসিসি র্যাংকিংয়ে একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে একই সময়ে তিন সংস্করণে শীর্ষে থাকার জন্য নয়। আসলে সাকিবকে খাটো করে দেখার মধ্য দিয়ে একটি সত্যও উঁকি দেয় : সাকিব ক্রিকেটের কোনো বড় দলের খেলোয়াড় নন, এতে যে কেউ সহজেই তাঁর বৈচিত্র্যময় প্রতিভা এড়িয়ে যেতে পারে। যেমন ধরুন অস্ট্রেলিয়া, ২০১১ সাল থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশের বিপক্ষে মাত্র একটি ওয়ানডে খেলেছে।’
বাংলাদেশের টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার সঙ্গে সাকিবের ক্রিকেটে আসার যোগসূত্রও রয়েছে। ২০০০ সালে বাংলাদেশ যখন টেস্ট মর্যাদা পেল, সাকিবও জায়গা পেয়েছিলেন বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে (বিকেএসপি)। এ দুটো ঘটনা একসূত্রে গেঁথেছে টেলিগ্রাফ। সংবাদমাধ্যমটির মতে, সাকিবের ক্রিকেটে আসা বাংলাদেশের টেস্ট মর্যাদা বিকাশে পরবর্তী ভিত্তি।