বিশ্বকাপের পর অবসর নিচ্ছেন না গেইল?
কতটা আত্মবিশ্বাস থাকলে কোনো মানুষ নিজেকে ইউনিভার্স বস আখ্যা দিতে পারেন? ক্রিস গেইলকে যখন সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলেন ইতিহাসে তাঁর স্থান ঠিক কোথায়, বিনয়ের বিশেষ ধার ধারলেন না তিনি। সবাইকে মনে করিয়ে দিলেন তিনি, এ যাবৎ কী কী করে দেখিয়েছেন। আর আসল বোমাটা ফাটল তারপরই, যখন তিনি জানালেন যে এই বিশ্বকাপের পর অবসর নাও নিতে পারেন।
এ ব্যাপারে গেইল বলেন, ‘দেখুন, আমি যে সর্বকালের সেরাদের মধ্যে পড়ি, তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে যখন খেলি, প্রতিটা মুহূর্ত চুটিয়ে উপভোগ করি। তাই এখনই খেলা ছাড়তে চাইছি না। আরো কিছুদিন খেলতে চাই।’
আর কত দিন খেলবেন এই সম্পর্কে ক্যারিবীয় এই মারকুটে ব্যাটসম্যান বলেন, ‘দেখি... আরেকটা সিরিজ তো খেলি আপাতত। তারপর ভাবা যাবে। বিশ্বকাপের পর হয়তো ভারতের সঙ্গে একটা টেস্ট খেলব। আর ওয়ানডেগুলো তো খেলবই। তবে টি-টোয়েন্টিগুলো খেলব না।’
বিশ্বকাপে নিজের্ পারফরম্যান্স নিয়ে গেইল বলেন, এই টুর্নামেন্টে বাকি ম্যাচে একটা সেঞ্চুরি পেলে বেশ হয়। তবে নাহলে খুব যে মুষড়ে পড়ব, তা নয়। জীবনে আসলে অনেক কিছু পেয়েছি। খুব চেয়েছিলাম, জানেন, যে এবারে সেমিফাইনালে অন্তত উঠি। একবার উঠলে হয়তো ট্রফিটাও পেয়ে যেতে পারি। দেখি, কী হয়।’
ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেমিফাইনালে ওঠার আশা এমনিতেই ক্ষীণ। শেষ সবকটি ম্যাচ জিততেই হবে তাদের। শুধু জিতলেও তাদের ওঠা নিশ্চিত নয়। বাকিদের খেলার ফলের ওপর নির্ভর করবে সেমিফাইনাল খেলা।
গেইলের বয়স এখন ৩৯। এখনই অবসর না নিলেও খুব বেশিদিন অবশ্যই খেলবেন না তিনি।
ভবিষ্যতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যাটিংয়ে কর্ণধার কে হবেন এমন এক প্রশ্নের জবাবে গেইল বলেন, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিঃসন্দেহে বেশ উজ্জ্বল। আর এই দলের আসল তারকা হবে পূরণ। দলে নতুন হলে কী হবে? ওইটুকু ছেলে, কী শৃঙ্খলা মেনে চলে, কী পরিমাণ খাটে ভাবতে পারবেন না। এ ছেলে বিশ্বজয় না করে থামবে না।’