দারুণ জয়ে সেমির আশা বাঁচিয়ে রাখল পাকিস্তান
লক্ষ্য খুব একটা বড় নয়, জিততে হলে পাকিস্তানকে করতে হবে ২৩৮ রান। এই রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই চাপে পড়ে যায় সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। দলীয় ৪৪ রানে হারিয়ে ফেলে দুই ওপেনারকে। তবে চতুর্থ উইকেট জুটির দৃঢ়তায় সেই চাপ শুধু কাটিয়ে ওঠেনি তারা শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি জিতেছেও পাকিস্তান।
এজবাস্টনে এই ম্যাচে পাকিস্তান জিতেছে ছয় উইকেটের বড় ব্যবধানে। বাবর আজমের চমৎকার সেঞ্চুরিতে এই জয় পায় তারা। আর এই জয়ের সুবাদে শেষ চারে খেলার আশা বাঁচিয়ে রেখেছে পাকিস্তান।
এদিনের জয়ে সাত ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ স্থানে আছে পাকিস্তান। সমান পয়েন্ট নিয়ে রান রেটে এগিয়ে থেকে বাংলাদেশ আছে তাদের উপরেই।
বাবর আজম ১২৭ বলে ১০১* রানের চমৎকার ইনিংস খেলে দলকে জয়ের উল্লাসে মাতিয়ে তোলেন। আর হারিস সোহেল ৭৬ বলে ৬৮ রান করে তাঁকে যোগ্য সাপোর্ট দেন।
এর আগে ৫০ ওভারে ছয় উইকেটে ২৩৭ রান করেছে নিউজিল্যান্ড। ম্যাচে মোহাম্মদ আমির দিয়ে শুরু। এরপর শাহিন আফ্রিদির তাণ্ডব। ১০০ রান না হতেই পাঁচ উইকেট নেই নিউজিল্যান্ডের! ১৯৯২ সালের পাকিস্তান ভর করেছে সরফরাজদের ওপর; সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তখন এই রব।
কিন্তু অবিশ্বাস্য দক্ষতায় দলকে ফেরালেন নেশাম ও গ্র্যান্ডহোম। ২৭তম ওভারে যখন উইলিয়ামসন আউট হয়ে যান তখন নিউজিল্যান্ডের স্কোর পাঁচ উইকেটে ৮৩। নেশাম ও গ্র্যান্ডহোম খাদের কিনারা থেকে উদ্ধার করেন দলকে। দুর্দান্ত খেলে ৯৭ রানে অপরাজিত ছিলেন নেশাম।
নেশাম ও গ্র্যান্ডহোমের ১৩২ রানের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় নিউজিল্যান্ড। ৭১ বলে ৬৪ রান করে আউট হন নেশাম।
আমিরই সবচেয়ে বেশি রান দিলেন। ১০ ওভারে ৬৭ রান দিয়ে একটি উইকেট নেন। তরুণ শাহিন আফ্রিদি ছিলেন আজ সবচেয়ে বেশি উজ্জ্বল। ১০ ওভারে মাত্র ২৮ রান দিয়ে নিয়েছেন তিন উইকেট। এ ছাড়া শাদাব খান ১০ ওভারে ৪৩ রান দিয়ে নিয়েছেন একটি উইকেট।
১০০ রান না হতেই নিউজিল্যান্ডের পাঁচ উইকেটে নেই! নেই এর তালিকায় কে কে আছে দেখুন, গাপটিল, মুনরো, রস টেলর, লাথাম এবং উইলিয়ামসন। ধ্বংসযজ্ঞটা শুরু করেছেন আমির। কিন্তু চালিয়েছেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। ওই পেসার আফ্রিদির তাণ্ডবেই ধুঁকছে নিউজিল্যান্ড।
‘আউটফিল্ড ভেজা থাকায় আধাঘণ্টা দেরিতে টস হয়। সেই টস জিতে ব্যাটিং নিলেন কিউই অধিনায়ক উইলিয়ামসন। কিন্তু গাপটিলকে বোল্ড করে মোহাম্মদ আমির আতঙ্ক ছড়ালেন ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারেই।
একে একে বিদায় নিলেন মুনরো ও রস টেলরও! তাঁদের ফিরিয়ে দেন আরেক পেসার শাহিন আফ্রিদি। পরে লাথামকেও মাত্র এক রানে ফিরিয়ে দেন শাহিন আফ্রিদি।
অধিনায়ক উইলিয়ামসন দাঁড়াতে চেয়েছিলেন। ধৈর্য ধরে ব্যাটিং করছিলেন। শাদাবের বলে আউট হয়ে যান তিনি। ৬৯ বলে ৪১ রান করেন তিনি।
বৃষ্টির কারণে এজবাস্টনের আউটফিল্ড ছিল ভেজা। এ কারণে নির্ধারিত সময়ে টস হয়নি। তবে টস জিতেই বড় সংগ্রহের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাটিংয়ে যায় নিউজিল্যান্ড। দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই আমিরের বলে বোল্ড হন গাপটিল। মাত্র পাঁচ রানে বিদায় নেন তিনি।
শাহিন আফ্রিদির বলে হারিস সোহেলকে ক্যাচ দেন মুনরো। অন্যদিকে শাহিনের বলে টেলরের ব্যাট ছুঁয়ে বল চলে যায় সরফরাজের গ্লাভসে। মুনরো বিদায় নেন ১২ রানে এবং টেলর মাত্র তিন রানে আউট হন।