আসুক ভারত, দেখাব খেলা কাকে বলে : যোশি
বিশ্বকাপে ব্যাট ও বল হাতে ভক্তদের প্রত্যাশা পূরণ করে চলেছেন লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। সেরা ফর্মে আছেন সুপারস্টার সাকিব আল হাসান। তাঁর নেতৃত্বে রীতিমতো ভালো বল করছেন বাংলাদেশি স্পিনাররা। তাই স্পিন বোলিং কোচ সুনীল যোশির বিশ্বাস, আগামী সপ্তাহে ভারতের বিরুদ্ধেও দারুণ কিছু করে দেখাবেন তাঁরা।
হ্যাম্পশায়ার বোলে আফগানিস্তানকে ৬২ রানে হারানোর পর এখন কয়েক দিন বিশ্রামে আছে বাংলাদেশ। তাদের পরের মিশন ২ জুলাই, ভারতের বিরুদ্ধে এজবাস্টনে। ভারতের হয়ে ১৫টি টেস্ট আর ৬৯টি ওয়ানডে খেলেছেন যোশি। তাঁর নিজের কাছে এই ম্যাচের গুরুত্ব অপরিসীম।
আইসিসির বিশ্বকাপ ওয়েবসাইটের খবরে বলা হয়, আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে সাকিবকে পাঁচ উইকেট নিতে দেখে মুগ্ধ যোশি। সাকিবের পাশাপাশি মেহেদী হাসান আর মোসাদ্দেক হোসেনেরও প্রশংসা করেন তিনি।
‘সাকিবের মতো বোলার হাতে পাওয়া যেকোনো স্পিন কোচের স্বপ্ন’, সাংবাদিকদের বলেন যোশি। ‘ও যে কিংবদন্তি, তা নিয়ে তো কোনো সন্দেহের অবকাশ নেই। ব্যাটে-বলে-ফিল্ডিংয়ে সাকিবের ধারাবাহিকতা অতুলনীয়। ওকে দলে পেয়ে আমরা গর্বিত।’
‘আজকাল ফিটনেসে খুব জোর দেয় সাকিব। প্রায় সাত কিলো ওজন কমিয়েছে সম্প্রতি। আর ফলও পেয়েছে হাতে-হাতে। উইকেটের মধ্যে এখন কত জোরে দৌড়ায় দেখেছেন? সাফল্যের খিদেটা অনেক বেড়ে গেছে। আর সেটা সংক্রমিত হয়েছে বাকিদের মধ্যে।’
স্বাভাবিকভাবেই ভারত ম্যাচের কথা উঠল। স্পিনারে-স্পিনারে লড়াই হলে ভারতের হয়ে খেলবেন কুলদীপ যাদব আর যুজবেন্দ্র চাহাল।
‘হ্যাঁ, আমরা জানি ওরা স্পিনটা ভালো খেলে’, স্বীকার করেন যোশি। ‘তবে আমরাও যে কম যাই না, তা আফগানিস্তানের সঙ্গে খেলা দেখেই বুঝেছেন নিশ্চয়ই।’
‘দেখুন, সাদা বলে আমরা যে ভালো খেলি, তা বেশ কিছুদিন ধরে আমরা বারবার প্রমাণ করেছি। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে প্রথমে ওদের মাঠে, তারপর দেশে ফিরে হারিয়েছি। আয়ারল্যান্ডে টুর্নামেন্ট জিতেছি। আর গত তিন বছরে তিনবার ভারতকে প্রায় হারিয়ে দিয়েছি।’
‘আসলে লিটন দাস, মুশফিকুর রহিম, সৌম্য সরকার, তামিম ইকবাল, তারপর বল হাতে মাশরাফি মুর্তজা—সব মিলিয়ে আমাদের ক্রিকেটের ধাঁচটা একটু আলাদা।’
ইংল্যান্ডে নিজে খেলে গেছেন যোশি। সেই অভিজ্ঞতার ভাণ্ডার তিনি উজাড় করে দিচ্ছেন বাংলাদেশি বোলারদের।
হ্যাম্পশায়ার বোলের পিচ আগের দুটি ম্যাচে স্পিনারদের সাহায্য করেছিল। আফগান স্পিনারদের সামনে সমস্যায় পড়েছিল ভারত। আবার সে রকম পিচ পেলে মন্দ হয় না, স্বীকার করেন যোশি।
আর স্পিন খেলা? ‘ভালো স্পিনার ওদেরও আছে, আমাদেরও আছে। সেদিক থেকে ভাবলে স্পিন বল করা আর খেলা আখেরে একই : প্রতিটা বলে নতুন করে মনঃসংযোগ করতে হয়।’
‘দেখুন, সব দলেরই ভালো-মন্দ থাকে। ভারতের সঙ্গে প্রতিটি খেলা খুঁটিয়ে দেখেছি আমি। কোথায় বল করতে হবে আমাদের নখদর্পণে।’