ময়নার সাফল্যের রহস্য তাহলে এটাই!
ভারতের সাবেক প্রেসিডেন্ট এ পি জে আব্দুল কালাম বলেছিলেন, ‘স্বপ্ন সেটা নয় যেটা মানুষ, ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে দেখে; স্বপ্ন সেটাই যেটা পূরনের প্রত্যাশা, মানুষকে ঘুমাতে দেয় না।’
এই মহান উক্তিটিকে অনুসরণ করেই কি না জীবনের সেরা লক্ষে পৌঁছাতে মনস্থির করলেন ক্রিকেটের বিশ্বসেরা অল-রাউন্ডার সাকিব আল হাসান!
২০১৯ সালে নিজের চতুর্থ বিশ্বকাপ খেলছেন ক্রিকেট বিশ্বের সুপারস্টার সাকিব। আগের তিন আসরে নিজেকে মেলে ধরতে না পারলেও চলতি বিশ্বকাপে কাটাচ্ছেন ক্যারিয়ারের সবচেয়ে সোনালি সময়। এমন সাফল্যের রহস্য কী?
এমন প্রশ্নের উত্তরে সাকিব জানালেন, ওজন কমিয়েই তার এই সাফল্য। বিশ্বকাপের আগে শরীর থেকে ছয় কেজি ওজন কমিয়েছেন সাকিব। সোমবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে দাপুটে জয়ের পর সংবাদ সম্মেলনে জানতে চাওয়া হয়েছিল, ওজন কমানোর ফলেই কি এই সাফল্য?
স্বভাবসুলভ মুচকি হেসে সাকিবের উত্তর, ‘অনেকটা সেরকমই। শারীরিক ফিটনেস মানসিকভাবে আমাকে অনেক সাহায্য করেছে। ওজন কমাতে অনেক পরিশ্রম করেছি, এখন তাই স্বস্তি নিয়ে খেলতে পারছি। যেকোনো কঠিন পরিস্থিতিতে ভালো সিদ্ধান্ত নিতে ফিজিক্যাল ফিটনেস জরুরি। এটা সম্ভব হয়েছে দেড় মাসের পরিশ্রমে। এর বাইরে তেমন কিছু করিনি।’
চলতি বিশ্বকাপ দুই হাত ভরে দিচ্ছে ‘মাগুরার ময়না’ সাকিবকে। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সেরা বোলিং ফিগারের মালিক এখন তিনি। আফগানদের বিপক্ষে ২৯ রানে পাঁচ উইকেট নিয়ে এই কীর্তি গড়েন প্রিন্স অব ক্রিকেট।
দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও আফগানিস্তানকে হারিয়ে বাংলাদেশ তিনটি ম্যাচ জিতেছে। সব ম্যাচেই সেরার পুরস্কার জিতেছেন সাকিব। এই অলরাউন্ডার অবশ্য দলীয় প্রচেষ্টাকেই সামনে আনলেন, ‘এই ম্যাচে মুশফিক, রিয়াদ, তামিম ও মোসাদ্দেকের ভূমিকা প্রয়োজন ছিল। বিশেষ করে, এমন উইকেটে। বোলিংয়ের ক্ষেত্রেও অবদান রেখেছে যে যার জায়গা থেকে। সব মিলিয়ে দলীয় প্রচেষ্টা না থাকলে এই ম্যাচ জেতা সম্ভব ছিল না।’