জিততে হলে পাহাড় টপকাতে হবে
মাশরাফির বলে ক্যাচ দিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার। ম্যাচের শুরুর দিকের ঘটনা। সাব্বির তা ধরতে পারেননি। গুনে গুনে মাশুল দিল বাংলাদেশ। সেই ওয়ার্নার থামলেন ১৬৬ রানে। ওয়ার্নারের মতো খেলেছেন খাজাও। তিনি থেমেছেন ৮৯ রানে। শেষ দিকে ম্যাক্সওয়েল তুললেন ঝড়। মাত্র ১০ বলে করেছেন ৩২ রান! এতেই রান হয়ে গেল পাঁচ উইকেটে ৩৮১।
জিততে হলে বাংলাদেশকে করতে হবে ৩৮২ রান।
বোলারদের মধ্যে আজ সফল ছিলেন সৌম্য সরকার। আট ওভারে ৫৮ রান দিয়ে তিন উইকেট লাভ করেন। তিন উইকেট বললে বলাটা কম হবে। সৌম্য নিয়েছেন ফিঞ্চ, ওয়ার্নার ও খাজার উইকেট। অন্য দুই উইকেটের একটি নিয়েছেন মুস্তাফিজ, অন্যটি হয়েছে রান আউট।
৪৯ ওভার পর বৃষ্টি শুরু হয়। পরে খেলা প্রায় বিশ মিনিটের মত বন্ধ ছিল। পরে খেলা আবার শুরু হয়। শেষ ওভারটি করেন মুস্তাফিজুর রহমান।
নিজেদের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে টসটা জিতল অস্ট্রেলিয়াই। অ্যারন ফিঞ্চ ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিলেন। ২০ ওভার পর্যন্ত ফিঞ্চ আর ওয়ার্নারের জুটি ভাঙা গেল না। মাশরাফি-মুস্তাফিজ-সাকিব-মিরাজ নন, জুটিটা ভাঙলেন সৌম্য! ২১তম ওভারে সৌম্যর বলে রুবেলকে ক্যাচ দিলেন ফিঞ্চ। তখন অস্ট্রেলিয়ার রান এক উইকেটে ১২১।
ওয়ার্নারকে সহজে থামানো গেল না। ১৪৭ বলে ১৬৬ রান করেন তিনি। যার মধ্যে ছিল ১৪টি চার ও পাঁচটি ছয়। খাজাকে নিয়ে ওয়ার্নার ঝড়ের বেগে রান তুললেন। ৩১৩ রানে এসে ওই জুটি ভাঙে। পরে নামেন ম্যাক্সওয়েল। শুরু করেন নতুন ঝড়। মাত্র ১০ বলে করেন ৩২ রান। যার মধ্যে ছিল তিনটি ছয় ও দুটি চারের মার। দুর্দান্ত রান আউটে ম্যাক্সওয়েলকে ফেরান রুবেল।
৪৯তম ওভার শেষেই নামে বৃষ্টি। তখন মাঠে ছিলেন স্টোয়নিস ও কেরি।
মাশরাফি বিন মুর্তজা দলবল নিয়ে ফিল্ডিংয়ে নামার আগে জানিয়ে দিলেন, দলে এসেছে পরিবর্তন। ইনজুরির কারণে দলে নেই সাইফউদ্দিন ও মোসাদ্দেক।
মাশরাফি আট ওভারে দিয়েছেন ৫৬ রান। মুস্তাফিজ নয় ওভারে দিয়েছেন ৬৯ রান। সাকিব ছয় ওভারে দিয়েছেন ৫০ রান। পঞ্চম ওভারে একটা সুযোগ এসেছিল ওয়ার্নারকে আউট করার। মাশরাফির বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ দিয়েছিলেন ওয়ার্নার। তবে সাব্বির তা ধরতে পারেননি।
চলতি বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো মাঠে নামবেন সাব্বির রহমান ও রুবেল হোসেন। ট্রেন্ট ব্রিজের খেলাটি বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়া দুই দলের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ।
গত সোমবার ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দুর্দান্তভাবে হারিয়েছে বাংলাদেশ। সাকিব ও লিটনের দারুণ ব্যাটিংয়ে তিনশ রান তাড়া করে সাত উইকেটে জয় পায় বাংলাদেশ।
এবারের বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত পাঁচ ম্যাচে দুই জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। দুটিতে পরাজয় ও একটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়া পাঁচ ম্যাচের মধ্যে চারটিতে জয় পেয়েছে। ভারতের বিপক্ষে পরাজিত হয় অস্ট্রেলিয়া। পয়েন্ট তালিকায় অস্ট্রেলিয়ার অবস্থান ৮ এবং বাংলাদেশের ৫।
ওয়ানডেতে এখন পর্যন্ত ২০ বার মুখোমুখি হয়েছে অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশ। যার মধ্যে একটিতে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ; যা এই ইংল্যান্ডের মাটিতেই। অন্যদিকে এ পর্যন্ত বিশ্বকাপে দুবার মুখোমুখি হয়েছে দুই দেশ। দুবারই জয় পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া।