পাকিস্তানকে বড় চ্যালেঞ্জ দিল ভারত
পাক-ভারতের দ্বৈরথের পাশাপাশি আরেকটা দ্বৈরথেরও ইঙ্গিত ছিল। মোহাম্মদ আমির বনাম বিরাট কোহলি। এখন পর্যন্ত বলা যায় দুইজনই জিতলেন! কোহলি খেলেছেন ৭৭ রানের ইনিংস, অন্যদিকে কোহলিকে ফিরিয়েছেন আমির।
বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে অবশেষে ৫০ ওভার ব্যাট করতে পেরেছে ভারত। পাঁচ উইকেটে ৩৩৬ রান করেছে দলটি। রোহিত শর্মা করেছেন সর্বোচ্চ ১৪০ রান। জয় পেতে হলে ৩৩৭ রান করতে হবে সরফরাজের দলকে। হেরে গেলে ভারতের বিপক্ষে বিশ্বকাপে টানা সাত হারের শিকার হতে হবে।
৪৬ ওভারের দিকে ভারতের সাবেক অধিনায়ক এম এস ধোনি আউট হন। এরপরই বৃষ্টি নামে। বৃষ্টির আগে ৪৬ ওভার চার বলে চার উইকেটে ৩০৫ রান করে ভারত।
শিখর ধাওয়ান নয় রোহিত শর্মা ওপেন করতে নামলেন কে এল রাহুলকে নিয়ে। খেললেন অন্যদিনের মতোই। যেন বলছেন, পাকিস্তানের সঙ্গে ম্যাচ, তাতে কী! এত চাপ নেওয়ার কী আছে? ওই চাপেই ভেঙে পড়ছে পাকিস্তান। নইলে মাঝপথ থেকে রোহিত দৌড়ে ফিরেছেন; রানআউট করতে পারেননি সরফরাজরা!
সেই রোহিত করলেন ১৪০ রান। মাত্র ৮৬ বল খেলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি। হাসান আলীর বলে ওয়াহাব রিয়াজের কাছে ক্যাচ দেন তিনি। পরে হার্দিক পান্ডিয়া এসে ১৯ বলে ২৬ রান করে আউট হন। বিজয় শঙ্কর আউট হন তিন রানে।
২৪তম ওভারে কে এল রাহুলকে ফেরান ওয়াহাব রিয়াজ। ৫৭ রানে আউট হন রাহুল।
এর আগে টসে জেতেন পাকিস্তানের সরফরাজ খান। ওল্ড ট্র্যাফোর্ডের মাঠে ফিল্ডিংই নিলেন তিনি। ব্যাটিংয়ে পাঠালেন কোহলির ভারতকে।
আমিরকে দিয়ে দারুণ একটা সূচনা করতে চেয়েছিলেন সরফরাজ। তবে আমিরকে শুরুতেই বেশ সাবধানে খেলেন রোহিত ও রাহুল। কিন্তু অন্য বোলারদের কেউই সমীহ আদায় করতে পারেননি। আমির ১০ ওভারে ৪৭ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন। কিন্তু হাসান আলী নয় ওভারে ৮৪ রান দেন। ইমাদ, শাদাব ও শোয়েব মালিকও ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের চাপে ফেলতে পারেননি।
বিশ্বকাপ এলেই ভারতের কাছে কেমন যেন গুটিয়ে যায় পাকিস্তান। পরিসংখ্যানটা এমন এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপে ছয়বার মুখোমুখি হয়েছে দুদল। তার মধ্যে ছয়বারই জয় পেয়েছে ভারত।
ওয়ানডেতে এখন পর্যন্ত ১৩১ বার মুখোমুখি হয়েছে দুদল। তার মধ্যে ৭৩ বার জয় পেয়েছে পাকিস্তান। ৫৪ বার জয় পেয়েছে ভারত।
এ পর্যন্ত তিনটি ম্যাচ খেলেছে ভারত। পাঁচ পয়েন্ট নিয়ে ভারত আছে পয়েন্ট তালিকার চার নম্বরে। অন্যদিকে চার ম্যাচ খেলে পয়েন্ট তালিকার নয় নম্বরে আছে পাকিস্তান।