শেষ হলো ক্রিকেটপ্রেমীদের অপেক্ষার পালা। সাদামাটা উদ্বোধন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আজ আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৯ কে স্বাগত জানাল গোটা বিশ্ব। বাকিংহাম প্যালেসের সামনে লন্ডন ‘দ্য মল’-এ অনুষ্ঠানটি শুরু হয় বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায়।

সাধারণত বিশ্বসেরা ক্রীড়া ইভেন্টগুলোর উদ্বোধনী হয় স্বাগতিক দেশের ঐতিহাসিক কোনো স্টেডিয়ামে। তবে সেই চিরায়ত রীতি ভেঙে এবার নতুন আঙ্গিকে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে এবারের আয়োজক ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস।

কোনো স্টেডিয়াম নয়, যুগ যুগ ধরে ব্রিটিশদের ইতিহাস-ঐতিহ্যের স্বাক্ষর বহন করে আসছে যে জায়গা, সেই বিখ্যাত দ্য মলেই পর্দা উঠবে ক্রিকেট বিশ্বকাপের দ্বাদশ আসরের। জায়গাটি ব্রিটিশদের বেশ গর্বের। এখানেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বিজয় উৎসব করেছিল তারা। এ ছাড়া রানি এলিজাবেথের সিংহাসন আরোহনের সুবর্ণজয়ন্তি অনুষ্ঠান হয়েছে এখানেই।

অনুষ্ঠানটি ক্ষুদ্র পরিসরে হতে যাচ্ছে বলে বিশ্বকাপের ওপেনিং পার্টি নিজের চোখে সরাসরি দেখার সুযোগ পাননি খুব বেশি দর্শক। কারণ, দ্য মলের আসন সংখ্যা মাত্র চার হাজার। আইসিসির ফ্রি টিকেটে বিশ্বের চার হাজার ভাগ্যবান ক্রিকেটপ্রেমীই শুধু এই উদ্বোধন অনুষ্ঠান স্বচক্ষে দেখার সুযোগ পেয়েছে।

তবে বাকিদেরও হতাশ হওয়ার সুযোগ নেই। বিশ্বকাপের উদ্বোধন অনুষ্ঠান সরাসরি দেখানো হয় টেলিভিশনের পর্দায়। এক ঘণ্টা ২০ মিনিটের এই অনুষ্ঠানেছিল ক্রিকেট উদযাপন, সংগীত ও সংস্কৃতির দৃষ্টিনন্দন বিভিন্ন প্রদর্শনী।

আইসিসির প্রতিটি দেশের সদস্য দূতেরা এক মিনিট ধরে ব্যাট করেন। উপস্থিত দর্শকরা দিতে থাকেন জয়োধ্বনি। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আব্দুর রাজ্জাক ও জয়া আহসান বাকিংহামের মাঠে নামেন। আব্দুর রাজ্জাক স্বাভাবিকভাবে সবকটি বল পিটিয়ে বিদায় দিলেও চার বল খেলে মাত্র একটি বল ব্যাটে লাগান জয়া আহসান।

এর আগে বুধবার দিনের বেলায় বিশ্বকাপের আয়োজক কমিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক স্টিভ এলওয়ার্দি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমরা পুরো বিশ্বকে দেখাব, কেন তারা পরের ৪৫ দিন ক্রিকেট উপভোগ করবে। বিশ্বকাপ, ক্রিকেট ও খেলাধুলার বৈচিত্র্য উদযাপন করব আমরা।’

এর আগে ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের অতিথি হয়ে সৌজন্য সাক্ষাতের জন্য বাকিংহাম প্যালেসে যান বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া ১০ দলের অধিনায়ক। সাক্ষাৎ শেষে মাশরাফিরা অংশ নেন বিশ্বকাপের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে।

বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে কাল লড়বে স্বাগতিক ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকা। বাংলাদেশের বিশ্বকাপে মূল লড়াই শুরু হবে ২ জুন। সেদিন দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হবেন টাইগাররা।