এ রেকর্ড শুধু মেসির!
দুর্দান্ত দাপট দেখিয়ে স্প্যানিশ লা লিগার এ মৌসুমের শিরোপা জিতে নেয় বার্সেলোনা। তবে লা লিগার শিরোপা জেতার কিছুদিন পর উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে লিভারপুলের কাছে বিধ্বস্ত হয় কাতালান দলটি। করুণ পরাজয়ে মুষড়ে পড়ে দলটির সমর্থকরা। তবে হতাশার এই সময়ে দারুণ এক কীর্তি গড়েছেন লিওনেল মেসি। গত মৌসুমেও লা লিগার শিরোপা জেতা বার্সাকে এবার টানা দ্বিতীয়বার স্প্যানিশ শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট পরানোর ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছেন মেসি। ইউরোপিয়ান শীর্ষ লিগগুলোর মধ্যে মৌসুমে সবচেয়ে বেশি গোল করেছেন বার্সার এই তারকা। পুরস্কার হিসেবে সর্বোচ্চ গোলদাতার ‘গোল্ডেন শু’ জিতে নিয়েছেন আর্জেন্টাইন এই ফুটবল জাদুকর।
এর আগেও পাঁচবার ‘গোল্ডেন শু’ জিতেছিলেন মেসি। ২০০৯-১০ প্রথমবারের মতো পুরস্কারটা জেতার পর এক মৌসুম বিরতি দিয়ে ২০১১-১২ এবং ২০১২-১৩ মৌসুমে টানা দুইবার ‘গোল্ডেন শু’ বগলদাবা করেন তিনি। তবে এবার মর্যাদাপূর্ণ এই পুরস্কার জেতার হ্যাটট্রিক পূর্ণ করলেন এই আর্জেন্টাইন তারকা। ২০১৬-১৭, ২০১৭-১৮, ২০১৮-১৯ টানা তিন মৌসুমে ইউরোপিয়ান শীর্ষ লিগগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ গোল করার কৃতিত্ব দেখান বার্সেলোনার এই সুপারস্টার। ফলে ‘গোল্ডেন শু’জেতার হ্যাটট্রিক পূর্ণ হয় মেসির। ১৯৬৮ সালে পুরস্কারটি দেওয়া শুরুর পর থেকে ইতিহাসের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে এই কীর্তি গড়লেন ৩১ বছর বয়সী এই ফুটবল জাদুকর।
এ মৌসুমে বার্সেলোনার হয়ে ৩৪ ম্যাচ খেলে নিজে ৩৬ গোল করার পাশাপাশি সতীর্থদের দিয়ে মোট ১৩টি গোল করিয়েছেন মেসি। মৌসুম জুড়ে দুর্দান্ত ফর্মে থেকে পিচিচি ট্রফি জয় নিশ্চিত করেছেন আগেই। দুটি পুরস্কারই টানা তৃতীয়বারের মতো জিতলেন এই বার্সেলোনা তারকা।
এ মৌসুমে ইউরোপের লিগগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ গোলের পুরস্কার ‘গোল্ডেন শু’ জয়ের লড়াইয়ে ৩৩ গোল নিয়ে মেসির ঠিক পেছনেই ছিলেন প্যারিস সেন্ট জার্মেই’র ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পে। তবে দ্বিতীয় অবস্থানে থেকেই মৌসুমটা শেষ করতে হয় তাঁর। ফলে সর্বোচ্চ ষষ্ঠবারের মতো ‘গোল্ডেন শু’ জেতা নিশ্চিত হয় মেসির। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ চারবার পুরস্কারটি জিতেছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো।