আবেগে কোচও কাঁদেন!
উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের এ মৌসুমে সবচেয়ে চমক-জাগানিয়া দল বলা যায় ডাচ ক্লাব আয়াক্সকে। স্প্যানিশ জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদ আর ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর জুভেন্টাসের মতো দলকে বিদায় করে সেমিফাইনালে উঠে যায় তারা। সেমিতে প্রথম লেগে টটেনহাম হটস্পারকে তাদের মাটিতেই হারিয়ে আসে তারুণ্যনির্ভর দলটি। দ্বিতীয় লেগে গতকাল বুধবার রাতে যখন প্রথমার্ধেই ২-০ গোলে এগিয়ে যায় ডাচ ক্লাবটি, তখন রাজ্যের হতাশা নেমে আসে টটেনহাম শিবিরে। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে অবিশ্বাস্য ফুটবল খেলে ৩-২ গোলের জয় পেয়ে যায় স্পাররা। খাদের কিনারা থেকে অবিস্মরণীয় ইতিহাস সৃষ্টি করে ফাইনালে উঠে যাওয়ার পর মাঠেই আবেগে কেঁদে ফেলেন স্পারদের আর্জেন্টাইন কোচ মরিসিও পচেত্তিনো।
নিজেদের মাঠ ইয়োহান ক্রুইফ অ্যারেনায় ম্যাচের ৩৫ মিনিটেই ২-০ গোলের লিড নেয় আয়াক্স। প্রথম লেগে ১-০ গোলে জেতা দলটি তখন ৩-০ অ্যাগ্রিগেটে এগিয়ে যায়। রাজ্যের হতাশা তখন স্পারদের আর্জেন্টাইন কোচ পচেত্তিনোর চোখেমুখে। দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়ায় তাঁর দল। ম্যাচের ৫৫ মিনিটে ডেলে আলির পাস থেকে গোল করেন লুকাস মোউরা। ঠিক চার মিনিট পর আবার গোল করেন টটেনহামের ব্রাজিলিয়ান তারকা মোউরা। ম্যাচের স্কোরলাইন ২-২ হয়।
কিন্তু তখনো এক গোলের ব্যবধানে পিছিয়ে টটেনহাম। এরপর ম্যাচের বাকি সময়টা উত্তেজনার পারদে ঠাসা ছিল। আক্রমণ-প্রতি আক্রমণে শেষদিকে এগিয়ে যায় ম্যাচ। নির্ধারিত সময় গড়িয়ে অতিরিক্ত সময়ও প্রায় শেষ হয়ে যাচ্ছে, এমন সময় ম্যাচের ৯৬ মিনিটে নিজের হ্যাটট্রিক পূর্ণ করে স্পারদের আনন্দের বন্যায় ভাসান মোউরা। দুই লেগ মিলিয়ে স্কোরলাইন ৩-৩ হলেও প্রতিপক্ষের মাঠে বেশি গোল করার সুবাদে ফাইনালে উঠে যায় পচেত্তিনোর দল।
ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজতেই স্বপ্নভঙ্গের বেদনায় কাঁদতে থাকেন তারুণ্যনির্ভর আয়াক্সের ফুটবলাররা। তাঁদের সান্ত্বনা দিতে দেখা যায় কোচ এরিক টেন হ্যাগকে। দূরে দাঁড়িয়ে কাঁদছিলেন আরো একজন, টটেনহামের কোচ মরিসিও পচেত্তিনো। তবে তাঁর কান্না ছিল আসলে আনন্দ অশ্রু। লিভারপুলের বিপক্ষে ফাইনাল ম্যাচের আগেই টটেনহামের দায়িত্বে পাঁচ বছর পূর্ণ হবে পচেত্তিনোর। তাঁর আগেই শিষ্যরা অবিস্মরণীয় জয় এনে আনন্দের কান্না উপহার দিলেন এই আর্জেন্টাইন কোচকে।