উভয় সংকটে আফ্রিদি!
সম্প্রতি ভারত ও পাকিস্তানে একযোগে প্রকাশিত হয়েছে শহিদ আফ্রিদির আত্মজীবনী ‘গেম চেঞ্জার’। প্রকাশের পরপরই আলোচনার তুঙ্গে চলে আসে বইটি। আত্মজীবনীতে নিজের খেলোয়াড়ি জীবনের বিভিন্ন ঘটনা, পাকিস্তান দলের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি, ভারতের সাবেক ক্রিকেটার গৌতম গম্ভীরের সমালোচনাসহ বিতর্কিত কিছু প্রসঙ্গ তুলে আনেন আফ্রিদি। বইটিতে নিজের প্রকৃত বয়স রেকর্ডে থাকা বয়সের চেয়ে বেশি বলেও উল্লেখ করেন এই তারকা অলরাউন্ডার। খেলোয়াড়ি জীবনে কোচ হিসেবে পাওয়া দুই সাবেক পাকিস্তানি ক্রিকেট কিংবদন্তি ওয়াকার ইউনুস এবং জাভেদ মিয়াঁদাদেরও চরম সমালোচনা করেন আফ্রিদি। তবে এবার কিছুটা ব্যাকফুটে চলে গেছেন ‘বুম বুম’ খ্যাত এই তারকা।
কিছুদিন আগেই আফ্রিদির সমালোচনার জবাব দিয়েছেন ভারতীয় তারকা গৌতম গম্ভীর। পাকিস্তানি তারকার মানসিক চিকিৎসকের কাছে যাওয়া প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন গম্ভীর। এবার আফ্রিদির সমালোচনায় সরব হয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক কোচ এবং খ্যাতিমান ব্যাটসম্যান জাভেদ মিয়াঁদাদ। তাঁকে নিয়ে আফ্রিদির করা সমালোচনার জবাব দিয়ে আফ্রিদির মন্তব্যকে দুঃখজনক আখ্যা দেন মিয়াঁদাদ। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপচারিতায় আফ্রিদির বইয়ের প্রসঙ্গ উঠতেই কিংবদন্তি এই ব্যাটসম্যান বলেন, ‘সে আর আগের মতো নেই। পুরো পাল্টে গেছে। পাকিস্তান ক্রিকেটের সঙ্গে জড়িত সবার দৃষ্টিতেই তার আচরণ দুঃখজনক। সে বইটা লিখেছে টাকা কামাইয়ের জন্য।’
এর আগে ‘গেম চেঞ্জার’ বইয়ে মিয়াঁদাদকে কড়া ভাষায় সমালোচনা করেন আফ্রিদি। কোচ থাকাকালীন মিয়াঁদাদ তাঁকে দল থেকে বের করে দিতে চেয়েছিল বলে অভিযোগ করেন ডানহাতি এই অলরাউন্ডার। এমনকি ১৯৯৯ সালের ভারত সফরে কোচ মিয়াঁদাদ তাঁকে দলের সঙ্গে তাঁকে অনুশীলনও করতে দেননি, এমন অভিযোগ তোলেন আফ্রিদি। কিংবদন্তি এই ব্যাটসম্যানের প্রতি কোনো সম্মান নেই এবং তাঁকে ‘ছোট মনের মানুষ’ হিসেবেও আখ্যা দেন ‘বুম বুম’ তারকা। সেই সমালোচনার জবাবেই আফ্রিদিকে ‘টাকা কামানোর জন্য পরিবর্তন হয়ে যাওয়া একজন’ হিসেবে উল্লেখ করেন মিয়াঁদাদ।
অন্যদিকে, আত্মজীবনীতে নিজের প্রকৃত বয়স নিয়ে আলোচনা করেন আফ্রিদি। ১৯৯৬ সালের নাইরোবিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আফ্রিদির করা তদানীন্তন দ্রুততম ওয়ানডে সেঞ্চুরির রেকর্ডটা ইতিমধ্যেই ভেঙে গেছে। কিন্তু বয়সের হিসাবে এখনো সর্বকনিষ্ঠ সেঞ্চুরিয়ানের তালিকায় আছে তাঁর সেই ইনিংস। তবে আত্মজীবনীতে সেই ইনিংসের সময় নিজের বয়স ১৬ নয়, প্রকৃতপক্ষে ১৯ ছিল উল্লেখ করেন আফ্রিদি। তাই সর্বকনিষ্ঠ সেঞ্চুরিয়ানের তালিকা থেকে তাঁর নাম কেটে দিতে পারে আইসিসি।