কলকাতায় নাখোশ আন্দ্রে রাসেল!
মাত্র তিন সপ্তাহ আগেও দৃশ্যটা এমন ছিল না। দারুণভাবে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) শুরু করা কলকাতা নাইট রাইডার্স ছিল পয়েন্ট টেবিলে সবার ওপরে। কিন্তু এরপর ক্রমাগত খেই হারিয়েছে দলটি। টানা ছয় ম্যাচে হেরেছে দিনেশ কার্তিকের দল, ২০০৯ মৌসুমের পর যেটি কেকেআরের সবচেয়ে বাজে পারফরম্যান্সের রেকর্ড। পয়েন্ট তালিকায় এখন নিচের দিক থেকে দুই নম্বরে আছে কেকেআর। অথচ এই দলে আছেন আন্দ্রে রাসেলের মতো খেলোয়াড়, এবারের মৌসুমে যিনি ধারাবাহিকভাবে অতিমানবীয় পারফর্ম করছেন। কলকাতার এমন পতনের কারণ হিসেবে টিম ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্তের দিকে আঙুল তুলেছেন এই ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার।
শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে হাজির হয়ে কলকাতার ম্যানেজমেন্টের নেওয়া কিছু সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেন আন্দ্রে রাসেল। নিজের আবেগকে একেবারেই না লুকিয়ে রাসেল বলেন, ‘আমাদের বেশ ভালো একটা দল রয়েছে। কিন্তু ভালো দল থাকা সত্ত্বেও বাজে কিছু সিদ্ধান্তের কারণে ক্রমাগত হারছি আমরা। আর এখনো এই বাজে সিদ্ধান্তই চলছে।’ কলকাতা নাইট রাইডার্সের ব্যাটিং ডিপার্টমেন্ট নিয়ে কোনো অভিযোগ নেই আন্দ্রে রাসেলের। তবে দলের অন্য বিভাগগুলোকে দুষেছেন এই তারকা অলরাউন্ডার।
দিনেশ কার্তিকের অধিনায়কত্বের দিকেও আঙুল তুলেছেন ২৯ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার। কিছুটা অসন্তুষ্ট হয়ে বলেন, ‘অনেকেই বলছে আমাদের ব্যাটিং বিভাগ ভুগছে, কিন্তু আসলে সেটা নয়। আমরা ম্যাচ জেতার মতো যথেষ্ট রান করছি। কিন্তু কিছু কিছু ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে যে বোলারের বল করা উচিত ছিল, সে সময় সে বলই হাতে পায়নি। আমি কয়েকটা ম্যাচেই এমন হয়েছে দেখাতে পারব।’
এবারের মৌসুমে কলকাতার বোলিং আর ফিল্ডিং নিয়ে রীতিমতো ক্ষোভ ঝেরেছেন ডানহাতি এই অলরাউন্ডার। একেবারে খোলামেলা ভঙ্গিতে বলেন, ‘টিভিতে সবাই খেলা দেখছে। এটা একেবারেই স্পষ্ট যে, আমরা বাজে ক্রিকেট খেলছি। এবারের মৌসুমে সবচেয়ে জঘন্য ফিল্ডিং করছি আমরা। আর ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ কিছু সময়ে বোলিংয়ে প্রচুর ভুল করছি। এ কারণেই ম্যাচ হারছি আমরা। আর এভাবে নিয়মিত হেরে যাওয়াটা হতাশাজনক।’
কলকাতার একের পর এক হারে হতাশায় ভুগছেন আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলতে অভ্যস্ত এই ক্রিকেটার। এভাবে ক্রমাগত হেরে যাওয়াটা লজ্জাজনক জানিয়ে রাসেল বলেন, ‘একজন পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে দলের এই অবস্থাটা আমার জন্য বিব্রতকর। গত দুদিন আমি রুম থেকে বের হইনি। নিজে যতই ভালো খেলি না কেন, এভাবে একের পর এক পরাজয় মেনে নেওয়ার মতো একজন আমি নই।’