বিরিয়ানি খাওয়া নিয়ে সরফরাজের সাফাই
সংযুক্ত আরব আমিরাতে কিছুদিন আগে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ওয়ানডে সিরিজে ৫-০-তে হোয়াইটওয়াশ হয় পাকিস্তান। এর ঠিক পরেই কিংবদন্তি পেসার ও পাকিস্তানের ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপজয়ী দলের নায়ক ওয়াসিম আকরাম পাকিস্তানের বর্তমান দলটার ফিটনেস নিয়ে বেশ নাখোশ হন। এমন লজ্জাজনক ফলাফলের পর খেলোয়াড়দের ফিটনেস সচেতনতা ও পিসিবির খাবারের মেন্যু নিয়ে প্রচণ্ড সমালোচনা করেন সর্বকালের অন্যতম সেরা এই ফাস্ট বোলার। বিশেষ করে পাকিস্তান দলের খেলোয়াড়দের বিরিয়ানি খাওয়া নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন আকরাম।
তবে দলের নিয়মিত অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ সম্ভবত বিরিয়ানি নিয়ে এসব সমালোচনা কানে তোলার একেবারেই পক্ষপাতী নন। ওয়াসিম আকরাম নাখোশ হন আর যাই হোন, সম্প্রতি বিরিয়ানি খাওয়ার পক্ষে একচোট সাফাই গেয়েছেন পাকিস্তান ক্রিকেট দলের অধিনায়ক। ম্যাচ খেলার ফিটনেসের যেমন অবস্থাই হোক না কেন, করাচির মুখরোচক বিরিয়ানি নিয়ে নিজের মুগ্ধতা এতটুকু লুকাননি এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান।
করাচি থেকে উঠে আসা সরফরাজ বেসরকারি একটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপচারিতায় সেখানকার বিরিয়ানি নিয়ে নিজের দুর্বলতার কথা জানান। ৩২ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার বলেন, ‘করাচির বিরিয়ানি আমার খুবই পছন্দ। সঙ্গে গরুর মাংসের কোর্মা ও শেরমল রুটিও দারুণ লাগে। বিরিয়ানি যে রকমই হোক না কেন, সেটার ভেতরে মাংস ঠিকঠাক থাকতে হবে এবং মসলাদার হতে হবে।’
বিরিয়ানি নিয়ে ফিটনেসের তেমন বিশেষ সম্পর্ক নেই জানিয়ে সরফরাজ বলেন, ‘বিরিয়ানি খেয়ে অভ্যস্ত হয়ে গেছি। আপনার শরীর যদি এমন খাবারের সঙ্গে মানিয়ে নেয়, তাহলে সেটা খাওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখা খুবই কঠিন।’ উল্লেখ্য, আমিরাতে সিরিজ চলাকালীন পাকিস্তান দল থেকে বিশ্রাম দেওয়া হয় অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদসহ ছয়জন নিয়মিত খেলোয়াড়কে। তবে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজে খেলা ক্রিকেটারদের মধ্যে অনেকেই ফিটনেস টেস্টে উতরাতে পারেননি। মাঠেও একেবারেই বাজে পারফর্ম করে পাকিস্তান দলের ক্রিকেটাররা। শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলোয়াড়দের শরীরী ভাষা ও সামর্থ্য দেখে ওয়াসিম আকরামসহ অনেক সাবেক ক্রিকেটারই সমালোচনায় বিদ্ধ করেন ক্রিকেটারদের।