বিশ্বকাপে পরিবারকে সঙ্গে নিতে পারবেন ক্রিকেটাররা
১৯৯২ সালের পর প্রথমবার রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতিতে হচ্ছে ক্রিকেট বিশ্বকাপ। অংশগ্রহণকারী প্রতিটি দল একে অপরের সঙ্গে ম্যাচ খেলবে এবার। ফলে বেশ লম্বা সময় ধরে হবে ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ। তবে বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারদের জন্য সময়টা আরো দীর্ঘ হয়ে যাচ্ছে, বিশ্বকাপের ঠিক আগে আয়ারল্যান্ড সফরে যাচ্ছে। আগামী ৩০ মে থেকে শুরু হবে বিশ্বকাপ। আর বাংলাদেশ দল আয়ারল্যান্ডে যাবে ১ মে। তাই লম্বা সময় দেশের বাইরে থাকতে হবে মাশরাফি-সাকিবদের।
তাই অনেক ক্রিকেটারই চাইছেন বিশ্বকাপে পরিবারকে সঙ্গে রাখতে। তাঁদের দাবি যুক্তিসংগত মনে হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি)। তাই এ সফরের দ্বিতীয় ভাগে ক্রিকেটারদের সঙ্গে স্ত্রী-সন্তানদের সঙ্গে রাখার অনুমতি দিচ্ছে বিসিবি।
বিসিবির পরিচালক আকরাম খান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘চাইলে বিশ্বকাপের সময় পরিবারকে সঙ্গে রাখতে পারবে ক্রিকেটাররা। এতে বোর্ডের পক্ষ থেকে কোনো আপত্তি করা হবে না। তা ছাড়া বৈশ্বিক টুর্নামেন্টে খেলোয়াড়দের পরিবার নিয়ে যাওয়ার অনুমতি এখনকার দিনে খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। যদিও আমাদের সময় এমনটা ছিল না। টিম ম্যানেজমেন্ট তখন এসব ব্যাপারে খুব কড়া ছিল। গত বিশ্বকাপেও আমাদের খেলোয়াড়রা পরিবার নিয়ে যেতে পেরেছে। এবারও আমাদের দিক থেকে কোনো সমস্যা নেই।’
আগামী ৭ মে থেকে আয়ারল্যান্ডে একটি ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ দল। স্বাগতিকদের সঙ্গে সিরিজের তৃতীয় দল হিসেবে থাকবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আগামী ১৭ মে শেষ হবে সিরিজটা। এরপরই শুরু হবে টাইগারদের বিশ্বকাপ প্রস্তুতি। ২৪ মে থেকে আইসিসি বিশ্বকাপে অংশ নিতে যাওয়া দলগুলোর দায়িত্ব বুঝে নেবে। ১৮ থেকে ২৩ মে পর্যন্ত সংক্ষিপ্ত একটা বিরতি পাবেন মাশরাফিরা। এই সময়ে ক্রিকেটারদের কেউ কেউ দেশে ফিরতে ইচ্ছুক। এ বিষয়ে আকরাম খান বলেন, ‘ত্রিদেশীয় সিরিজ শেষে হাতে চার-পাঁচ দিন সময় থাকবে। এর মধ্যে দেশে ফিরে আবার ইংল্যান্ডে যাওয়া একটু বাড়তি ঝামেলা বটে। তবে কেউ যদি আসতে চায়, তাহলে বোর্ড পূর্ণ সহযোগিতা করবে। আমরা কাউকে বারণ করব না।’