উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচ জিতল সাকিবের হায়দরাবাদ

আইপিএলে কোলকাতার বিপক্ষে আগের ম্যাচের পারফরম্যান্সটা ঠিক যুতসই হয়নি, একেবারে খারাপও করেননি সাকিব আল হাসান। এরমধ্যে অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন ফিট হয়ে দলে ফিরে আসায় রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে আর মাঠে নামার সুযোগ হয়নি সাকিবের। প্রথমে ব্যাট করে হায়দরাবাদের বোলারদের পিটিয়ে ১৯৮ রান তুলে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয় রাজস্থান। তবে ঘরের মাঠে বড় রান তাড়া করেও আয়েশে ম্যাচ জিতে নিয়েছে সাকিবের দল। এক ওভার বাকি থাকতেই পাঁচ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে সানরাইজার্স।
শুক্রবার হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে রাজস্থান রয়েলস। দলীয় ১৫ রানে বিপজ্জনক জস বাটলারকে ফিরিয়ে দেন রশিদ খান। এরপর অধিনায়ক আজিঙ্কা রাহানেকে নিয়ে নিজের ব্যাটিং দ্যুতির প্রদর্শনী করেন সঞ্জু স্যামসন। ৪৯ বলে চারটি চার ও তিনটি ছক্কায় ৭০ রান করে আউট হন রাহানে। তবে অন্যপ্রান্তে দুর্দান্ত ব্যাট করে সেঞ্চুরি তুলে নেন স্যামসন। মাত্র ৫৫ বলে ১০টি চার ও চারটি ছক্কায় অপরাজিত ১০২ রান করেন এই টপঅর্ডার ব্যাটসম্যান। বোলারদের অসহায় হওয়ার দিনে চার ওভারে মাত্র ২৪ রান দিয়ে একটি উইকেট নেন রশিদ খান।
বিশাল রান তাড়া করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতেই ৯.৪ ওভারে ১১০ রান তুলে হায়দরাবাদকে জয়ের স্বপ্ন দেখান দুই বিদেশি ডেভিড ওয়ার্নার ও জনি বেয়ারস্টো। মাত্র ৩৭ বলে দুই ছক্কা ও ৯টি চারের সাহায্যে ৬৯ রান করে আউট হন ওয়ার্নার। ২৮ বলে ৪৫ রান করেন বেয়ারস্টো। এরপর ১৪ রান করা উইলিয়ামসন ও ১৫ বলে ৩৫ রান করা বিজয় শঙ্কর আউট হলেও আবার দৃশ্যপটে আবির্ভূত হন রশিদ খান। শেষ দিকে আট বলে অপরাজিত ১৫ রান করে দলকে ম্যাচ জিতিয়ে ম্যান অব দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হন এই চ্যাম্পিয়ন লেগ স্পিনার। উইকেটে এ সময় তাঁর সঙ্গে অপরাজিত ছিলেন অভিজ্ঞ ইউসুফ পাঠান।
একাদশে সাকিব না থাকলেও নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে প্রথম জয়ের স্বস্তি নিয়ে মাঠ ছাড়ে সানরাইজার্স।