ইউরো ২০২০-এর বাছাইপর্বে নিজেদের গ্রুপের প্রথম দুটি ম্যাচই ঘরের মাঠে খেলল পর্তুগাল। বাছাইপর্ব দিয়েই দলে ফিরেছেন দেশটির ইতিহাসের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। ইউরোর বর্তমান চ্যাম্পিয়নও তারাই। কিন্তু অনুপ্রেরণাদায়ী এত কিছুর মাঝেও সোমবার রাতে সার্বিয়ার বিপক্ষে ১-১ গোলের হতাশাজনক ড্র করেছে রোনালদোর দল। এর আগে শুক্রবার ইউক্রেনের সঙ্গেও গোলশূন্য ড্র করে পয়েন্ট খুঁইয়েছিল পর্তুগিজরা।

লিসবনে অনুষ্ঠিত ম্যাচের প্রথমার্ধেই চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন পর্তুগালের সেরা খেলোয়াড় রোনালদো। এর আগেই ম্যাচের সপ্তম মিনিটে পর্তুগালের ডি-বক্সে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়কে ফাউল করেন পর্তুগিজ গোলরক্ষক রুই প্যাট্রিসিও। পেনাল্টি থেকে সার্বিয়াকে ১-০ গোলে এগিয়ে দেন ফরোয়ার্ড দুসান তাদিচ। কিছুক্ষণ পরই বড় ধাক্কাটা খায় স্বাগতিকরা। পায়ে আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন পর্তুগিজ অধিনায়ক রোনালদো। 

প্রথমার্ধের ৪২তম মিনিটে পর্তুগালকে সমতায় ফেরান ড্যানিয়েল পেরেইরা। মাঝমাঠ থেকে বল পেয়ে খানিকটা এগিয়ে গিয়ে  প্রায় ২২ গজ দূর থেকে দূরপাল্লার জোরালো শটে গোল করে ম্যাচে ১-১ সমতা আনেন পর্তুগিজ মিডফিল্ডার।

এরপরের গল্পটা পর্তুগিজদের জন্য হতাশার। বেশ কয়েকবার গোল করার সুযোগ সৃষ্টি করে ফার্নান্দো সান্তোসের দল। কিন্তু ফিনিশিংয়ের দুর্বলতা আবার কখনো ভাগ্যের জেরে গোলবঞ্চিত হতে হয় তাদের। এমনকি ৭১ মিনিটে আন্দ্রে সিলভার শট গোললাইন থেকেও ফিরে আসে সার্বিয়ার রক্ষণভাগের তৎপরতায়। শেষ পর্যন্ত টানা দুই ম্যাচ ড্র করার হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়ে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন পর্তুগাল। 

দুই ম্যাচে ড্র করে মাত্র দুই পয়েন্ট নিয়ে ‘বি’ গ্রুপের তৃতীয় স্থানে আছে পর্তুগাল। লুক্সেমবার্গকে ২-১ গোলে হারিয়ে চার পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে ইউক্রেন।