দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নিউজিল্যান্ড টেস্টে বল টেম্পারিং-কাণ্ডের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ। তবে সুযোগ থাকা সত্ত্বেও বল টেম্পারিংয়ে বাধা না দেওয়ায় অনুতপ্ত বলে জানিয়েছেন এই তারকা খেলোয়াড়। স্মিথ নিশ্চিত করেছেন, ড্রেসিংরুমে বলের একটি দিক বেশি রুক্ষ করার ব্যাপারে শুনেও না শোনার ভান করেছিলেন তিনি।

সিডনি এয়ারপোর্টে অশ্রুসিক্ত সংবাদ সম্মেলনের পর এবার প্রথম গণমাধ্যমের সামনে বল টেম্পারিং নিয়ে মুখ খুললেন স্মিথ। তিনি বলেন, ‘বল টেম্পারিংয়ের পরিকল্পনা শুনেও বাধা না দেওয়া আমার নেতৃত্বের ব্যর্থতা। আমি বলেছি, আমি এ ব্যাপারে জানতে চাই না এবং সেখান থেকে চলে গেছি। আমি বাধা দিইনি এবং মাঠে ঘটনাটি ঘটেছে। তাই এই দায় আমার। গত নয় মাসে আমি এমন অনেক কিছু শিখেছি। প্রতিটি সিদ্ধান্ত আপনাকে নেতিবাচকভাবে দাঁড় করাতেও পারে। এখন মাথা ঠান্ডা রেখে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার শিক্ষা আমি পেয়েছি। ’

স্মিথের নেতৃত্বের অভাবের খেসারত দিতে হয়েছে ডেভিড ওয়ার্নার ও ক্যামেরন ব্যানক্রফটকেও। এমনকি সম্পূর্ণ ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার কর্তৃপক্ষের মধ্যে অনেক রদবদল হয়েছে। অবশ্য দেশে ফিরেই দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়ে কিছুটা সহানুভূতি আদায় করে নিয়েছেন স্মিথ।

কেপটাউনের কেলেঙ্কারির পর অনেক অন্ধকার দিন পার করেছেন স্মিথ। লিস্ট ‘এ’ এবং অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হলেও স্মিথ কানাডা ও ক্যারিবীয় প্রিমিয়ার লিগে টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। সাম্প্রতিক সময়ে বিপিএলে খেলার সুযোগ হাতছাড়া হলেও পাকিস্তান সুপার লিগ ও ভারতীয় প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে নিজেকে ক্রিকেটের মাঠে অভ্যস্ত রাখছেন তিনি। আবারও দর্শকদের ভালোবাসা ফিরে পেতে চেয়ে স্মিথ বলেন, ‘অস্ট্রেলীয়রা আমার স্বীকারোক্তি অনেক ইতিবাচকভাবে নিয়েছেন এবং ক্ষমাও করেছেন। আমাকে সেই বিশ্বাস আবারও ফিরিয়ে আনার জন্য অনেক কাজ করতে হবে।’