হঠাৎ করেই ছাঁটাই করা হয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড কোচ জোসে মরিনিয়োকে।  আগামী দুদিনের মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হিসেবে মাইকেল ক্যারিককে দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। অবশ্য মরিনিয়োকে বরখাস্তের ব্যাপারটি অনেক আগেই ধারণা করা হচ্ছিল। লিভারপুলের বিপক্ষে হারের মধ্য দিয়ে মরিনিয়োর দল বিগত ২৮ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বাজে মৌসুম শুরু করেছিল।

মরিনিয়োর দায়িত্বাধীন শেষ ম্যাচটি ছিল লিভারপুলের বিপক্ষে, যেখানে ৩-১ ব্যবধানে হেরেছিল ইউনাইটেড। প্রিমিয়ার লিগের টেবিলে ষষ্ঠ স্থানে থাকা ইউনাইটেড চ্যাম্পিয়নস লিগে পিছিয়ে আছে অনেক দূরে। তবে এর পরও ৫৫ বছর বয়সী এই পর্তুগিজ দাবি করেছিলেন, তিনি দলের সঙ্গেই আছেন। অবশ্য গত মঙ্গলবার ইউনাইটেড দাবি করেছে, মরিনিয়ো নাকি হঠাৎ করেই ম্যানেজার পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।

এক বিবৃতিতে দল থেকে বলা হয়েছে, ‘জোসের দায়িত্বকালীন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে তাঁর কাজের জন্য ক্লাব তাঁকে ধন্যবাদ জানাচ্ছে এবং ভবিষ্যতে সাফল্য কামনা করছে। একজন তত্ত্বাবধায়ক ম্যানেজারের দায়িত্বে দল মৌসুমের শেষ পর্যন্ত থাকবে, যতক্ষণ না ক্লাব পূর্ণাঙ্গ সময়ের জন্য কোচের নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করছে।’

এই বছরের শুরুতেই মরিনিয়ো ২০২০ সাল পর্যন্ত চুক্তিবদ্ধ হয়েছিল ইউনাইটেডের সঙ্গে। তবে মৌসুমের শুরুতেই ব্যর্থতা তাঁর দায়িত্ব থেকে আগেই অব্যাহতি দিয়েছে। অবশ্য ব্যর্থতার কারণে বেশ সমালোচিত হয়েছিলেন তিনি। মরিনিয়ো রক্ষণভাগ শক্ত করার জন্য খেলোয়াড় চাইলেও ফ্রেডো, পোর্তো, ডিয়োগো দালোত ও লি গ্র্যান্টের মতো গোলরক্ষক এবং মিডফিল্ডারদের নেওয়া হয়েছিল। পগবার সঙ্গে মতবিরোধ ব্যাপারটিকে আরো উসকে দিয়েছিল।

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড মরিনিয়োর সময়কালে একটি ইউরোপা লিগ, ২০১৬-১৭ মৌসুমে ইএফএল কাপ জিতেছে এবং ১৪৪ ম্যাচের মধ্যে ৮৪টিতেই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে জয় এনে দিয়েছিলেন এই কোচ।