লিস্ট  ‘এ’-এর ম্যাচের রেকর্ডে নতুন নাম ইংল্যান্ডের উইলেম লুডিক। তবে এতে খুশি হওয়ার প্রশ্নই আসে না লুডিকের। কারণ এই সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্ট বোলার নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্টের বিপক্ষে হ্যামিল্টনে এক ওভারে ৪৩ রান দিয়ে বিশ্বরেকর্ড গড়েছেন। ব্যাটসম্যান জো কার্টার এবং ব্রেট হ্যাম্পটন তাঁর ব্যক্তিগত শেষ ওভারে এই রান সংগ্রহ করেন। শুধু তাই নয়, এর মাধ্যমে তিনি বাংলাদেশি মিডিয়াম পেসার আলাউদ্দিন বাবুকে ছাড়িয়ে গেছেন।

এরআগে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে এক ওভারে সবচেয়ে রান দেওয়ার রেকর্ড ছিল বাবুর। শেখ জামালের বিপক্ষে আবাহনী লিমিটেডের হয়ে বল করছিলেন তিনি। স্ট্রাইকিং প্রান্তে ছিলেন জিম্বাবুয়ে দলের সাবেক অধিনায়ক এল্টন চিগাম্বুরা। ২০১৩-১৪ মৌসুমের সেই ম্যাচে এক ওভারে ৩৯ রান দিয়েছিলেন বাবু। এত দিন ওভারে সর্বোচ্চ রান দেওয়ার লজ্জার রেকর্ড থেকে এবার তাঁকে কিছুটা মুক্তি দিয়েছেন লুডিক।

ম্যাচটির ৪৬তম ওভারে বল করতে আসেন লুডিক। এটি ছিল তাঁর ব্যক্তিগত শেষ ওভার। তবে এখানেই তাঁর জন্য অপেক্ষা করছিল মহাবিপত্তি। নয় ওভার শেষের স্কোরকার্ড ছিল ৪২ রানের বিনিময়ে এক উইকেট। খুবই সাধারণ এবং স্বাভাবিক এই স্কোরকার্ড দশম ওভার শেষে দাঁড়ায় ৮৫ রানে এক উইকেটে।

ওভারের প্রথম বলে ব্যাটসম্যানের ভাগ্য সুপ্রসন্ন বলতে হবে। অফস্টাম্পের বাইরের বলকে খেলার পর বলে চলে যায় উইকেটরক্ষককে অতিক্রম করে সীমানা ছাড়িয়ে। প্রথম বলে চারের পরেই হয়তো নড়বড়ে হয়ে যান লুডিক। ফলাফল দ্বিতীয় বল উচ্চতাজনিত কারণে নো বল হয় এবং ছক্কা মারেন স্ট্রাইক প্রান্তে থাকা ব্যাটসম্যান। ফ্রি হিটের বলে আবারও আরেকটি নো বল এবং ছক্কা। পরের বলটিও তাই ফ্রি হিট হিসেবে গণ্য হয়েছে। পরের বলেও ছক্কা। অর্থাৎ মাত্র দুই বলেই ২৪ রান দিয়ে ফেলেছিলেন লুডিক। পরের বলে এক রান নেন ব্যাটসম্যানরা। পরের তিনটি বল আবারও তিনটি ছক্কা মারেন স্ট্রাইকিং প্রান্তের ব্যাটসম্যান। ফলে দুজনে তিনটি করে ছক্কা মারার সুবাদে এক ওভারে ৪৩ রান যোগ হয়েছে নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্টের ঝুলিতে।

কার্টার ছয়ে নেমে ৭৭ বলে ১০২ রান করেছেন। হ্যাম্পটন করেছেন ৬৬ বলে ৯৫ রান। ফলে ৫০ ওভার শেষে নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্টের রান দাঁড়ায় সাত উইকেটের বিনিময়ে ৩১৩। অবশ্য লড়াইটা বেশ ভালো করেছিল লুডিকের দল সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্ট। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। মাত্র ২৫ রানের ব্যবধানে হেরেছে তারা। অর্থাৎ, লুডিকের ওভারে আর ২০ রান কম আসলেই ফলাফল হতে পারত অন্যরকম। তবে যাই হোক না কেন, আবাহনীর বোলার আলাউদ্দিন বাবুকে এই লজ্জার রেকর্ড থেকে মুক্তি দিয়েছেন লুডিক।