শেষ পর্যন্ত ছাড়পত্র পেলেন সাকিব
সব জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে শেষ পর্যন্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি লিগে খেলার অনুমতি পেয়েছেন বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। কিছুদিন আগেই বছরের শুরুতে পাওয়া আঙুলের চোট অসহ্য হওয়ায় চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন সাকিব। ফলে এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে খেলতে পারেননি তিনি। তবে এবার কোনো স্বাস্থ্যঝুঁকি না থাকায় আগামী ১৯ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া সংযুক্ত আরব আমিরাত টি-টোয়েন্টি লিগে খেলার ছাড়পত্র পেয়েছেন সাকিব।
জিম্বাবুয়ের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। সে সিরিজে খেলার সম্ভাবনা রয়েছে সাকিবের। এরপর আগামী ২৩ ডিসেম্বর থেকে টি-টোয়েন্টি লিগে খেলতে পারবেন সাকিব। তবে টি-টোয়েন্টি লিগ ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) সঙ্গে সাংঘর্ষিক হওয়ায় পহেলা জানুয়ারি পর্যন্ত আরব আমিরাতে খেলার সুযোগ পাচ্ছেন সাকিব।
বর্তমানে আঙুলের সংক্রমণ থেকে সেরে উঠছেন সাকিব। আরো কিছুদিন বিশ্রামে থাকবেন এই বাঁহাতি অলরাউন্ডার। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী ২২ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া টেস্ট ম্যাচে ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সাকিবকে দলে পাবে বাংলাদেশ।
গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড আনুষ্ঠানিকভাবে সাকিবকে অনাপত্তিপত্র দেওয়ার শর্ত জানিয়েছিল। সাকিবের শারীরিক অবস্থা ভালো থাকা সাপেক্ষে আরব আমিরাতে খেলার অনুমতি পেতেন সাকিব। তবে আজ অনাপত্তিপত্র পেয়ে সাকিব বলেন, ‘আমি ও ফিজিও আমার ক্রিকেটে ফেরার জন্য কোনো সময় না বাঁধার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। খুব শিগগিরই আমি অনুশীলন শুরু করব। যদি কোনো সমস্যা না মনে হয়, খেলায় ফেরার কথা চিন্তা করব। তাঁর আগে আমিও মাঠে নামব না, ফিজিও আমাকে নামতেও দিবেন না।’
সাকিব আরব আমিরাতের টুর্নামেন্ট নিজেকে ঝালিয়ে নেওয়ার আরেকটি সুযোগ হিসেবে দেখছেন। তিনি বলেন, ‘এই ম্যাচগুলোয় ফিট থাকলে আমার জন্য ভালো প্রস্তুতি হবে। বড় একটি ইনজুরির পর ম্যাচগুলো খেললে আবারও ছন্দে ফিরতে পারব আমি।’
নিউল্যান্ড বল টেম্পারিংয়ের অভিযোগে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ স্টিভেন স্মিথ, আন্দ্রে রাসেল এবং শহীদ আফ্রিদিদের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাত টি-টোয়েন্টি লিগে আগামী ২৩ ডিসেম্বর থেকে দেখা যাবে সাকিবকে।