রোডসের বিশ্বকাপ পরিকল্পনায় সৌম্য, মুমিনুল ও মোসাদ্দেক
এশিয়া কাপে ড্যাশিং বাঁহাতি ওপেনার তামিম ইকবাল ও বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান চোটের কারণে সব ম্যাচে দলে না থাকায় নির্বাচকরা ভরসা রেখেছিলেন তরুণদের ওপর। দলে স্থান পেয়েছিলেন মুমিনুল হক ও মোসাদ্দেক হোসেন। এমনকি তামিমের ইনজুরির পর হঠাৎ করেই সংযুক্ত আরব আমিরাতে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সৌম্য সরকার ও ইমরুল কায়েসকে। তবে নিজেদের প্রমাণ করতে পারেননি উল্লিখিত কোনো খেলোয়াড়ই। তাই জিম্বাবুয়ে সিরিজে বাদ পড়েছেন তাঁরা। অবশ্য তাঁদের এখনই আশাহত করছেন না কোচ স্টিভ রোডস। সৌম্য, মুমিনুল ও মোসাদ্দেককে এখনো বিশ্বকাপের পরিকল্পনায় রেখেছেন বলেই মন্তব্য করেছেন ইংলিশ কোচ।
রোডস বলেন, ‘যখন কেউ দল থেকে বাদ পড়ে, তখন তারা একা হয়ে পড়ে, বিষণ্ণ হয় এবং নিজেকে বঞ্চিত মনে করে। সৌম্য ও মুমিনুলের মতো গুণগত মানসম্পন্ন খেলোয়াড়দের কাছ থেকে আমরা এমনটি আশা করি না। মোসাদ্দেকও দল থেকে ছিটকে গেছে। তবে তারা আবারও নিজেকে দলে আনতে সক্ষম। আমি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষের অনুশীলন ম্যাচে থাকব।’
আজ শুক্রবার প্রস্তুতি ম্যাচে জিম্বাবুয়ে মুখোমুখি হচ্ছে বিসিবি একাদশের, যার নেতৃত্ব দেবেন সৌম্য সরকার। সৌম্যকে নিয়ে খুশি রোডস। তিনি বলেন, ‘সৌম্য জাতীয় ক্রিকেট লিগে দুটি ৭০-এর কোঠায় রান করায় এবং পাঁচ উইকেট পাওয়ায় আমি খুশি। তাঁর সময়জ্ঞান অসাধারণ। সে এমন একজন খেলোয়াড়, যে জাতীয় দল থেকে কয়েকজনকে ছিটকে দেওয়ার সামর্থ্য রাখে। তাদের খেলতে হবে এবং এরপর তারা সুযোগ পাবে।’
এমনকি আরিফুল হক, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও নাজমুল ইসলামের মতো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অনভিজ্ঞরাও রয়েছে তাঁর নজরে। সাত নম্বরে অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা আরিফুল ও সাইফউদ্দিনের মধ্যে প্রতিযোগিতা হতে পারে। এ ব্যাপারে কোচ বলেন, ‘আরিফুল বল করতে পারে এমন একজন ব্যাটসম্যান। এনসিএলে তার দ্বিশতক অসাধারণ ছিল। আরিফুল, সৌম্য ও সাইফউদ্দিন একই ধাঁচের। আরিফুলকে আমরা পরখ করতে চাই। তারা ভালো নাকি মন্দ, সেটা মাঠে না নামালে কীভাবে বুঝব?’
মাঠেই প্রমাণ হবে, বিশ্বকাপে কাদের দলে থাকার সম্ভাবনা কতটুকু। উদীয়মান তরুণদের নজরে রাখছেন স্টিভ রোডসও। এখন নিজেদের প্রমাণ করে সুযোগ নিতে পারেন কি না তরুণ টাইগাররা, সেটিই দেখার অপেক্ষায় আছে ভক্তরা।