‘ধর্ষণের অভিযোগ মিথ্যা, নথি বানোয়াট’
কিছুদিন আগেই পর্তুগিজ তারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর বিপক্ষে ধর্ষণের অভিযোগ এসেছে। তবে রোনালদোর আইনজীবী সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এমনকি রোনালদোর বিরুদ্ধে যেসব নথিপত্র দেখানো হয়েছে, সেগুলোকে ‘বানোয়াট’ বলে দাবি করেছেন তিনি। ২০০৯ সালে লাস ভেগাস হোটেলে ক্যাথরিন মায়োরগা নামের সেই নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্বয়ং রোনালদোও।
মায়োরগা নামের সেই নারী অভিযোগ করেন, ২০০৯ সালে তিনি রোনালদোর কাছে ধর্ষিত হয়েছেন। সেই খবর প্রচারণায় এনে আলোচনায় এসেছিল জার্মান ম্যাগাজিন দের স্পিগেল। সাপ্তাহিক ম্যাগাজিনের সেই খবরকেও মিথ্যা বলে এর আগেই অস্বীকার করেছেন রোনালদো। তবে আইনজীবী পিটার ক্রিস্টিয়ানসেন এই জুভেন্টাস তারকার নামে অভিযোগকে অস্বীকার করেছেন। ক্রিস্টিয়ানসেন এই রিপোর্টকে চুরি এবং পরিবর্তিত ডিজিটাল ডকুমেন্ট হিসেবে চিহ্নিত করেন এবং কিছু অংশকে সম্পূর্ণ বানোয়াট বলে বিবৃতি দেন।
তবে ২০১০ সালে মায়োরগার সঙ্গে তিন লাখ ৭৫ হাজার ডলারের একটি চুক্তি হয়েছিল বলে স্বীকার করেছেন ক্রিস্টিয়ানসেন। সেই শারীরিক সম্পর্কের ঘটনা যে উভয়ের সম্মতিতে ঘটেছিল এবং তা ধর্ষণ ছিল না, সেটি স্বীকার করেছেন এই আইনজীবী। কিন্তু এই চুক্তিকে রোনালদোর অনুশোচনা হিসেবে দেখছেন না তিনি।
ক্রিস্টিয়ানসেন বলেন, ‘২০১৫ সাল নাগাদ বিভিন্ন আইনি প্রতিষ্ঠানসহ ইউরোপের অনেক প্রতিষ্ঠান সাইবার হামলার শিকার হয় এবং আক্রমণকারীরা অনেক তথ্য চুরি করে। হ্যাকার এমন কিছু তথ্য চুরি করে এবং পরে দায়িত্বজ্ঞানহীন একটি পত্রিকায় সেগুলো প্রচারিত হয়, যার মধ্যে কিছু অংশ ছিল সম্পূর্ণ বানোয়াট। আবারও বলছি, ২০০৯ সালে যা কিছু হয়েছিল, সেটি রোনালদো এবং মায়োরগার সম্মতিতেই হয়েছিল।’