স্বঘোষিত ‘ডন’ শোয়েব আখতার!
শোয়েব আখতার ক্রিকেট বিশ্বের অন্যতম সেরা পেস বোলার ‘রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস’ নামে পরিচিত। তবে নিজেকে ‘ক্রিকেটের ডন’ বলে অভিহিত করায় টুইটারে তাঁকে নিয়ে মজা করছেন অনেকেই।
শোয়েব আখতারের অফিশিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে শোয়েব, ‘তাঁরা আমাকে ক্রিকেটের ডন বলত। আমি কারো মনে আঘাত দিতে পছন্দ করি না। কিন্তু আমি বলব, যখন আমি খেলতাম, তখন আমি দেশের প্রতি ভালোবাসা এবং দর্শকদের জন্য দৌড়াতাম।’ টুইটের সঙ্গে তিনি কোলাজ হিসেবে কিছু ছবি শেয়ার করেন, যার ক্যাপশন হিসেবে লিখেছিলেন, ‘সেই বলগুলো, যার কারণে দ্রুত ও ভয়ঙ্কর শোয়েব আখতারকে ক্রিকেট ভক্তরা ভালোবেসেছে।’ সেসব ছবিতে শোয়েব আখতারের কাছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পরাস্ত হয়েছিলেন এমন ব্যাটসম্যানদের ছবি দেখা যাচ্ছিল।
তবে সেটিকে ভালোভাবে নেননি অনেক ক্রিকেটপাগল ভক্ত, বিশেষত ভারতের ভক্তরা। অনেকে শোয়েবের বলে শচীন টেন্ডুলকারের ব্যাটিংয়ের ভিডিও কমেন্ট শেয়ার করেন। @দ্যামিস্টিক ১৯ নামের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে লেখা হয়েছিল, ‘শচীনের এমন পেটানোর কথা তুমি কীভাবে ভুলতে পারো বন্ধু?’ আরেকটি টুইটে @নিতেশনভোকর লিখেছেন, ‘তোমার ছবিতে শচীনের বিপক্ষে বোলিংয়ের ছবিটি নেই, যেখানে ২০০৩ সালের বিশ্বকাপে তোমাকে পয়েন্ট বাউন্ডারি দিয়ে শচীন ছক্কা মেরেছিল।’
২০০৩ সালের ম্যাচে অবশ্য শচীন মাত্র ৭৫ বলে ৯৮ রান করেছিলেন। সেই ম্যাচে ভারত ছয় উইকেটে জয় পেয়েছিল।
শুধু ভারত নয়, পাকিস্তান থেকেও ‘ক্রিকেটের ডন’ শব্দে আপত্তি এসেছে। @অ্যাটেনশনম্যাগনেট নামের একটি আইডি থেকে পোস্ট করা হয়, ‘শোয়েব আখতারকে ‘ক্রিকেটের ডন’ বলতে কাউকে শুনিনি, তিনি নিজে ছাড়া।’ @ক্রিকেট৪এভার টুইট করেছেন, ‘দ্রুত ও ভয়ঙ্কর তো সবসময়ই ছিলেন। তবে ডন মনে হয়নি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের প্রশংসা কাজে আসবে না।’
@সুমিতমালপানি লিখেছেন, ‘আপনি ভালো ছিলেন, তবে ওয়াসিম আকরাম ও ওয়াকার ইউনিস আপনার চেয়ে ভালো এবং মেধাবী বোলার ছিলেন। সত্য বলতে, আমার আকিব জাভেদ ও আব্দুর রাজ্জাকের বোলিং ভালো লাগত। তাঁরা প্রচারণা কম পেলেও খুব ভালো বোলার ছিলেন। আপনার গতি ছিল তবে বেশিরভাগ সময় ইনজুরিতে থাকতে হতো।’
তবে কিছু পাকিস্তানি ক্রিকেট ভক্ত শোয়েব আখতারকে সমর্থন করে তাঁর বোলিংয়ের প্রশংসা করেছেন। @স্কিলসপেবিলজ লিখেছেন, ‘আরেকজন শোয়েব আখতার কখনোই আসবে না।’ @আক্কি৮৬৮৮১৫১২ লিখেছেন, ‘৯৫ মাইল/ঘণ্টা বেগে আপনাকে বল করতে দেখা সৌভাগ্যের ব্যাপার। স্পিডস্টার শোয়েব আখতার।’