আবারও সেই ভারত, আবারও সেই আম্পায়ারিং!
জীবনে কখনো ওপেন করেননি। সেই মেহেদী হাসান মিরাজকেই আজ দেখা গেল লিটন দাসের সঙ্গে ব্যাটিংয়ের সূচনা করতে। চোখ কপালে উঠে গিয়েছিল অনেকেরই। সেটা আরও উপরে উঠেছে যখন দেখা গেল লিটন-মিরাজের এই উদ্বোধনী জুটি স্কোরবোর্ডে জমা করে ফেলল ১২০ রান। অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার সিদ্ধান্তের ওপরে জন্মাল শ্রদ্ধা।
২১ ওভারের মধ্যেই স্কোরবোর্ডে ১২০ রান। হারায়নি একটাও উইকেট। এশিয়া কাপের ফাইনালে এ তো স্বপ্নের শুরু। কিন্তু দ্রুতই সেই স্বপ্ন পরিণত হতে থাকল দুঃস্বপ্নে। ভারতের বিপক্ষে গত কয়েকটি বড় ম্যাচে আম্পায়ারিং বিতর্কটাও উঠে গেল জোরেসোরে। নতুন করে ক্ষুব্ধ হলেন বাংলাদেশের সমর্থকেরা।
১২০/০ থেকে বাংলাদেশের স্কোরটা চলে আসে ১৫১/৫। সতীর্থদের আসা যাওয়ার মধ্যে অবিচল ছিলেন শুধু লিটন দাস। ১১৭ বলে ১২১ রানের ইনিংসটি খেলে বাংলাদেশকে বড় সংগ্রহের পথে নিয়ে যাচ্ছিলেন এই ডানহাতি ওপেনার। সেই লিটন দাসের আউট নিয়েই আবার আইসিসির রেফারিং নিয়ে নতুন করে তৈরি হলো বিতর্ক।
৪১তম ওভারে ভারতীয় লেগস্পিনার কুলদীপ যাদবের বল ফ্লিক করতে গিয়েছিলেন লিটন। ব্যাটে-বলে না হওয়ায় উইকেট ভেঙে স্টাম্পিংয়ের আবেদন করেছিলেন ধোনি। থার্ড আম্পায়ার অনেকটা সময় ধরে পর্যালোচনা করে শেষপর্যন্ত আউটের ঘোষণা দিয়েছেন। ক্রিকইনফোর ধারাভাষ্যে বলা হচ্ছে, ‘তার পা লাইনেই ছিল। এর পেছনে না। লিটন আউট হলেন খুবই অল্পের ব্যবধানে।… এই মানুষটা এতটাই ভালো খেলেছেন যে তাকে আউট করার জন্য আজ এমন কিছুই লাগত।’
কিছুক্ষণ পরে ক্রিকইনফো এক পাঠক মন্তব্য প্রকাশ করে। যেখানে সোহেল নামের একজনকে বলতে শোনা যায় যে, ‘আম্পায়ারের খুবই বাজে সিদ্ধান্ত। বেনিফিট অব ডাউট তো ব্যাটসম্যানের পক্ষেই যাওয়ার কথা। তাই না?’ তার জবাবে ক্রিকইনফোর ধারাভাষ্যকার মনে করিয়ে দেন যে, ‘এটা মনে করবেন না যে, চারগুন জুম করে দেখার পরেও সেখানে কোনো সন্দেহ ছিল।’
লিটনের পা কোনোভাবেই দাগের বাইরে ছিল না। এসব ক্ষেত্রে ব্যাটসম্যানকে আউট দেওয়ার নজির ক্রিকেট বিশ্বে খুব বেশি নেই। থাকলে অতি অল্পই পাওয়া যাবে। এশিয়া কাপের ফাইনালের মতো একটা বড় ম্যাচে তো কোনোভাবেই নেই। কেন বারবার এই ভারতের বিপক্ষেই বাংলাদেশ জড়ায় এমন বিশ্রী বিতর্কগুলোতে?
২০১৫ সালের বিশ্বকাপ কোয়ার্টার ফাইনালের ক্ষত কি এখনো শুকিয়েছে? সেই বিতর্কিত নো বলটা? রুবেল হোসেনের বলে রোহিত শর্মা যেভাবে আউট হয়েও বেঁচে গিয়েছিলেন বিতর্কিত আম্পায়ারিংয়ের কারণে? ৪০তম ওভারে সেই জীবন পাওয়ার পর তিনি যোগ করেছিলেন আরও ৪৭ রান। যেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল ভারতের জয়ের পেছনে।