মাশরাফিই নাকি উদ্বুদ্ধ করেছিলেন তামিমকে!
ম্যাচের প্রথম ইনিংসের খেলা চলছিল তখন। চোট নিয়ে হাসপাতালে গিয়েছিলেন তামিম ইকবাল। কিছুক্ষণ পরই স্টেডিয়ামে খবরটি চলে যায়, কব্জির চোটে এশিয়া কাপ শেষ হয়ে গেছে এই বাংলাদেশি ওপেনারের। তখনই হতাশার ছায়া নেমে আসে দলে। একে তো দলের ইনিংস খুব একটা বড় হচ্ছে না, তার ওপর দলের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যানের এমন চোট— পুরো টিম ম্যানেজমেন্টই একরকম বিমর্ষ হয়ে পড়ে।
কারণ এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচ হারলে বাংলাদেশের শেষ চারে খেলা কঠিন হয়ে যাবে। জিততে হলে শ্রীলঙ্কার সামনে একটা চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ দাঁড় করাতে হবে। ভাবনায় পড়ে যান অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। উইকেটে তখন মুশফিকুর রহিম ও মুস্তাফিজুর রহমান। কাটার-মাস্টারের ওপর ভরসা নেই। যেকোনো সময় আউট হয়ে যেতে পারেন। তখন বাংলাদেশের পক্ষেও গড়া সম্ভব হবে না খুব একটা বড় সংগ্রহ।
হাসপাতাল থেকে স্টেডিয়ামে ফেরা তামিমকে তখন কাছে ডেকে বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, ‘মুস্তাফিজ আউট হয়ে গেলে তুই আবার মাঠে যাস।’
যেমন ভাবনা তেমন কাজ। অধিনায়কের কথায় রাজি হয়ে গেলেন তামিম। দলের প্রয়োজনে ঝুঁকি নিয়ে মাঠে নামার জন্য রাজি হলেন ঠিক, কিন্তু প্যাড পরবেন কীভাবে। একে তো ভাঙা হাত, তার ওপর হাতে ব্যান্ডেজ।
বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট সূত্রে জানা গেছে, এ সময় সহযোগিতায় এগিয়ে গেলেন অধিনায়ক মাশরাফি ও মুমিনুল হক। তামিমকে প্যাড পরতে সহযোগিতা করেন মুমিনুল। পাশে দাঁড়িয়ে কিছুটা সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেন নড়াইল এক্সপ্রেসও। এর পর তামিম মাঠে নামেন। এক হাতে ব্যাট করেন। বাকিটা তো ইতিহাস।
তামিম সে সময় মাঠে নামায় দারুণ সাহস পান উইকেটে থাকা মুশফিক। দুজনে মিলে শেষ উইকেট দারুণ একটি পার্টনারশিপ গড়েন, তাই বাংলাদেশের পক্ষেও সম্ভব হয় একটা চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ দাঁড় করানো।
সে ম্যাচে বাংলাদেশ প্রথমে ব্যাট করে ২৬১ রান গড়ে। জবাবে শ্রীলঙ্কার ইনিংস থেমে যায় ১২৪ রানে। তাই লাল-সবুজের জয় পায় ১৩৭ রানের বিশাল ব্যবধানে।