‘আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাওয়ানোই জরুরি’
আর কদিন বাদেই মাঠে গড়াচ্ছে এশিয়া কাপ ক্রিকেট। ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া এই আসরে অংশ নিতে এরই মধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাতে পৌঁছেছেন মাশরাফি-সাকিবরা। সেখানকার আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে একটি প্রশ্ন অনেক আগে থেকেই চলে আসছে। উষ্ণ ও আর্দ্র আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাওয়ানো দলের জন্য জরুরি বলে মনে করেন বাংলাদেশের অন্যতম অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার মাহমুদউল্লাহ।
দুবাই স্পোর্টস সিটির আইসিসি একাডেমিতে অনুশীলন চলাকালীন মাহমুদউল্লাহ বলেন, ‘এই মুহূর্তে এখানে (আরব আমিরাত) বেশ আর্দ্রতা রয়েছে। তবে পেশাদার খেলোয়াড় হিসেবে আমাদের বিভিন্ন অবস্থার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে হয়। এমন অবস্থা থেকেই আমাদের ইতিবাচক কিছু ভাবতে হবে।’
গ্রুপ ‘বি’তে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ হিসেবে রয়েছে শক্তিশালী শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান। এশিয়া কাপের উদ্বোধনী ম্যাচেই শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। সাম্প্রতিক সময়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ভালো খেলেছে টাইগাররা। সেটিকেই অনুপ্রেরণা হিসেবে নিতে চাইছেন মাহমুদউল্লাহ। তিনি বলেন, ‘কয়েক মাস আগে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আমাদের ভালো কিছু স্মৃতি রয়েছে। শ্রীলঙ্কা অনেক ভালো দল, তারা অনেক ভালো ক্রিকেট খেলছে। তাদের হারাতে হলে আমাদের নিজেদের সর্বোচ্চটা দিতে হবে। আমাদের প্রস্তুতিটা ভালোই হয়েছে। তাই ভালো খেলার ব্যাপারে আমরা আশাবাদী।’
একজন অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে দলে ভূমিকা রাখার কথা ভাবছেন বলে জানিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। এই অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার বলেন, ‘দলের জন্য অবদান রাখতে পারাটা সবসময়ই ভালো লাগে। আর দল জিতলে তা আরো খুশির ব্যাপার হয়। আমি নিজের সর্বোচ্চটা দেওয়ার চেষ্টা করব। আমার মনে হয়, সব দলই এই মুহূর্তে ভালো খেলছে। প্রতিটি ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা নিশ্চিন্ত হয়ে বসে থাকতে পারি না। প্রতিটি ম্যাচেই আমাদের ভালো করতে হবে, যেন আমরা গ্রুপ পর্বে ভালো করতে পারি।’
তবে বাংলাদেশ দলের দ্বাদশ খেলোয়াড় হিসেবে গ্যালারির দর্শকদের কথা স্বীকার করেছেন মাহমুদউল্লাহ। সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রবাসী বাংলাদেশি দর্শকরা দলকে উজ্জীবিত করবেন বলে মনে করেন তিনি। তাঁর মতে, ‘আমরা হয়তো অনেক দর্শক পাব, কারণ অনেক বাংলাদেশি এখানে থাকেন। আমরা আশা করি, তাঁরা মাঠে আসবেন এবং আমাদের সমর্থন দিবেন। আমরাও তাঁদের ভালো ফলাফল দেওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী।’