কুককে যে কারণে মনে রাখবে ভারত!

Looks like you've blocked notifications!
বামের ছবিটি কুকের অভিষেক টেস্টের। ডানের ছবিটি শেষ টেস্টের। দুটোতেই প্রতিপক্ষ ভারত। দুটোতেই কুক পেলেন শতক। ছবি : সংগৃহীত

দেখতে সুদর্শন। রূপকথার গল্পের নায়কদের মতোই! অ্যালিস্টার কুক কাজও যা করলেন তা রূপকথার বইতেই মানায়। বিদায়ী টেস্টে শতক করেছেন। তা আর এমন কী? কুক অভিষেকেই শতক করেছিলেন।

মজার বিষয় হচ্ছে, অভিষেক আর বিদায়ী টেস্টে কুকের প্রতিপক্ষ ছিল ভারত!

ওভালে ভারতের বিপক্ষে সিরিজের শেষ টেস্টের চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনেই তিন অঙ্কের ঘরে পৌঁছে যান কুক। শেষ পর্যন্ত ১৪৭ রান করে আউট হয়েছেন। ২০০৬ সালে ভারতের বিপক্ষেই নাগপুরে অভিষেক হয়েছিল কুকের। দ্বিতীয় ইনিংসে ১০৪ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি।

কুককে রূপকথার নায়ক বলছেন সাবেক ক্রিকেটাররাই। কুকের কীর্তির পর কেভিন পিটারসন টুইট করেছেন, ‘চিত্রনাট্য লেখা হলো! রূপকথার সমাপ্তি হলো!’ আকাশ চোপড়া লিখেছেন, ‘রূপকথা সত্যিই আছে। এমনও বিদায় হয়!’

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে টুইট করেই শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কুককে।

এদিকে ভারতের সাবেক ক্রিকেটার হরভজন সিং আরো এককাঠি সরেস। তিনি লিখেছেন, ‘আমিও ওই ইতিহাসের অংশ। অভিষেক টেস্টে কুকের একটি ক্যাচ মিস করেছিলাম। তখন তার রান ছিল ৯০!’

ভারতের বিপক্ষে পঞ্চম ও শেষ টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে তৃতীয় দিন শেষে ৪৬ রানে অপরাজিত ছিলেন কুক। চতুর্থ দিন প্রথম সেশনেই শতক তুলে নেন তিনি। যা ছিল তাঁর ১৬১তম ম্যাচের ৩৩তম শতক।

কুকের আগে অভিষেক ও বিদায়ী টেস্টে শতক করা ব্যাটসম্যান আছেন চারজন। তাঁদের তিনজনই অস্ট্রেলিয়ান। তাঁরা হলেন, রিগি ডাফ, বিল পনসফোর্ড, গ্রেগ চ্যাপেল। চতুর্থজন হলেন ভারতের মুহাম্মদ আজহার উদ্দিন।

প্রথম ব্রিটিশ ব্যাটসম্যান হিসেবে এ বিরল কীর্তি গড়লেন কুক। একই সঙ্গে দ্বিতীয় ইনিংসে সর্বোচ্চ ১৫টি সেঞ্চুরি করে পেছনে ফেলেছেন কুমার সাঙ্গাকারাকে। আর তিনটি সেঞ্চুরি করতে পারলেই, ভারতের সুনীল গাভাস্কারের ওপেনার হিসেবে সর্বোচ্চ ৩৩টি শতকের রেকর্ডটিও পেছনে ফেলতে পারতেন কুক।