মরিনহোর জন্যই ম্যানইউতে যেতে পারেননি রোনালদো!
গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো নাকি এই মৌসুমেই আবার ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যোগদান করতে পারেন! তবে হোসে মরিনহো বেশ শক্তভাবেই ধামাচাপা দিয়েছেন এই গুজবকে। স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, তিনি রোনালদোকে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে আসতে দেবেন না। প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে বার্নলির বিপক্ষে ম্যাচ শেষে মরিনহো জানিয়েছেন, রোনালদোকে নেওয়ার কোনো প্রস্তাব আমার কাছে আসেনি।
টার্ফ মুরে ২-০ গোলে জেতার পর গুঞ্জনগুলো অস্বীকার করে মরিনহো সাংবাদিকদের জানান, রিয়াল মাদ্রিদে থাকাকালীন শিষ্য রোনালদোর কথা তিনি চিন্তাও করেননি। এই ব্যাপারে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘রোনালদোকে নেওয়ার প্রস্তাব আমার কাছে আসেনি। তাই এ ব্যাপারে হ্যাঁ অথবা না বলার প্রশ্নই আসে না।’ রোমেলু লুকাকুর জোড়া গোলে ভর করে জেতায় বার্নলিতে ইউনাইটেডের পয়েন্ট বেড়েছে। সঙ্গে মরিনহোর উদ্বেগও কমেছে। পল পগবা সুযোগ পেয়েও গোল করতে পারেননি সেই ম্যাচে। ফিল বার্ডসলির সঙ্গে বিরোধে জড়ানোয় মাঠ ছাড়তে হয়েছিল মার্কাস রাসফোর্ডকে। তবে ইউনাইটেড জিতলেও পরে আরো দুটি গোলের সম্ভাবনায় ব্যর্থ হয়েছিলেন লুকাকু।
মরিনহো সংবাদ সম্মেলনে দর্শকদের প্রশংসা করেন। স্পার্সের কাছে ৩-০ গোলে হারার পর থেকে অনেক দুয়োধ্বনি শোনা গেলেও এবার ভারোভাবেই সমর্থন পেয়েছে মরিনহোর দল। ‘স্পার্সের কাছে হারার পর আমরা এই ম্যাচ থেকে জেতা শুরু করেছি। আমরা ঘরের মাঠে হারায় সমর্থকরা যদি খারাপ ব্যবহার করে, তখন দল আত্মবিশ্বাস হারায়, চাপে পড়ে এবং পরের ম্যাচ আরো কঠিন হয়ে দেখা দেয়। আমরা ঘরের মাঠে হেরেছি। কিন্তু ভক্তরা অসাধারণ ছিল, কারণ তারা বুঝেছে যে দল ভালো খেলেছে। ফলাফল খারাপ হওয়ায় সপ্তাহটা ভালো কাটেনি। তাদের সামনে জোড়া গোল করতে না পারায় আমার সামান্য আক্ষেপ হয়েছিল। এটা তাদের জন্য দারুণ হতো।’
ভক্তরা তাঁকে যেভাবে সমর্থন জুগিয়েছেন, সেই ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে মরিনহো বলেন, ‘ম্যানেজার নয়, দল গুরুত্বপূর্ণ। ম্যানেজার খেলেন না। দর্শকদের সবরকম প্রতিক্রিয়ার সঙ্গে খাপ খাওয়াতে আমার আরো অনেক সময় লাগবে। দলের পারফরমেন্সে, ফলাফলে এবং ভক্তদের আনন্দিত করতে পেরে আমি খুশি।’