‘আমার দলে কোয়ালিটি আছে’
ঘোষিত ২০ সদস্যের স্কোয়াডের ওপর আস্থা রেখে ঘরের আসরের সাফে নিজ দলকে নিয়ে চ্যালেঞ্জ নিতে চান প্রধান কোচ জেমি ডে। এশিয়ান গেমসে ভালো খেলা তারুণ্য নির্ভর দলটির পাশাপাশি দল ঘোষণায় অভিজ্ঞতাকে প্রাধান্য দিয়েছেন কোচ।
কোচ জেমি ডে বলেছেন, ‘আমার দলে কোয়ালিটি আছে। কিন্তু এটাও সত্যি অন্যদের তুলনায় আমরা পিছিয়ে আছি।’
সাতজাতির টুর্নামেন্টে আয়োজক বাংলাদেশ। ঘরের আসরের প্রত্যাশা মেটানোর দায় চেপে আছে যাদের ওপর। দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের মঞ্চে কাদের নিয়ে বাজি ধরবেন প্রধান কোচ, সেই ছক পরিষ্কার করে ফেলেছেন এরই মধ্যে। যেখানে মামনুল-ওয়ালির মতো অভিজ্ঞ ফুটবলাদের জায়গা হয়েছে। সমালোচনা থাকলেও টিকে গেছেন গোলরক্ষক শহিদুল আলম। আর বাদ গেছেন তরুণ উইঙ্গার জাফর, ফরোয়ার্ড মতিন মিয়ার মতো নাম।
জেমি ডে সাংবাদিকদের বলেন, ‘সাতজন অভিজ্ঞ ফুটবলারকে দলে রেখেছি আমি। এশিয়ান গেমসের ১১ জন আছে তাদের সাথে। প্রতিটি ফুটবলারের জন্য সমান সুযোগ রাখতে চেয়েছি আমি। সাফের মতো আসরে অভিজ্ঞতাকে এড়ানো যায় না। এরা তরুণদের সাহায্য করবে বলে আমার বিশ্বাস। বাংলাদেশে খেলা বলে সবাই শিরোপা জেতার আশা করবে। আমার দলে কোয়ালিটি আছে। কিন্তু এটাও সত্যি অন্যদের তুলনায় আমরা পিছিয়ে আছি।’
প্রধান কোচ নিজ শিষ্যদের ওপর আস্থা রাখলেও, দেশের ফুটবল বিশ্লেষকদের চোখে এখনো এই দলে স্কোরিং সমস্যা প্রকট হয়েই ধরা দিচ্ছে। কেরালায় আগের সাফে দলের দায়িত্বে থাকা কোচের মতামত অন্তত তেমনই।
সাবেক কোচ মারুফুল হক বলেন, ‘যেহেতু সাফ আমাদের টার্গেট। দেশের মাটিতে যেহেতু, চ্যাম্পিয়ন হতে হবে। এ প্রেসারটা নিতে হবে প্লেয়ারদের। প্রেসার নিয়েই ভালো পারফর্ম করতে হবে।’
সাবেক কোচ সাইফুল বারী টিটু বলেন, ‘স্কোরিং করার অ্যাবিলিটিটা আমাদের পেছনে ফেলে দিচ্ছে। আমরা যদি গোল করতে পারি তাহলে পয়েন্ট পাওয়া সহজ হবে। কেবল স্ট্রাইকারদের ওপর নির্ভর না করে মিডফিল্ডারদের ওপরও ভরসা রাখা যায়। অনেক তরুণ আছে যারা নিয়মিত গোল করে।’
এই সাফ দিয়ে বাংলাদেশের বেশ কজন ফুটবলারের এই অঞ্চলের শীর্ষ টুর্নামেন্টে অভিষেক হচ্ছে। তাঁরা অবশ্যই প্রতিদান দিতে মরিয়া।
আতিকুর রহমান ফাহাদ বলেন, ‘আমি আমার দিক থেকে শতভাগ দিব। যাতে দেশের জন্য ভালো কিছু করতে পারি। ট্রফিটা অর্জন করতে চাই, যা আমাদের ১৬ কোটি মানুষের জন্য দরকার।’
আগামী ৪ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের সাফ মিশন শুরু হবে ভুটানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে।