মিসরীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের কাছে এত অভিযোগ সালাহর!
রাশিয়া বিশ্বকাপে খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা এবং সুবিধা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে অনাগ্রহের কারণে মিসর ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনকে (ইএফএ) এক হাত নিলেন মোহাম্মদ সালাহ। এই মিসরীয় তারকা কাঁধের চোট সারিয়ে ওঠার পরই রাশিয়া বিশ্বকাপে দুই গোল করলেও দলকে খুব ভালো অবস্থানে নিয়ে যেতে পারেননি। হেক্টর কুপারের দল গ্রুপ স্টেজে বাদ পড়লেও সম্মানসূচক চেচেন নাগরিকত্ব গ্রহণের জন্য সালাহ শিরোনাম হয়েছিলেন।
তবে গত রোববার সালাহ টুইটারে এক ঝাঁক সমস্যার কথা উল্লেখ করেন, যেখানে রাশিয়া বিশ্বকাপ পরবর্তী সময়ে সালাহর সঙ্গে জাতীয় দলের সম্পর্কের অবস্থার কিছুটা আঁচ পাওয়া যায়। এই ব্যাপারে আইনগত পদক্ষেপের হুমকিও দিয়েছে মিসরীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন! তবে পরের দিন এই লিভারপুল তারকা জানিয়েছেন, তিনি কোনো বাড়তি সুবিধা নয়, বরং দলের জন্য কথা বলছেন। সালাহ ফেসবুকে দেওয়া একটি ভিডিওতে বলেন, ‘আমি ইএফএর কাছ থেকে কোনো বাড়তি সুবিধা চাই না। আমি দলের কারো থেকে নিজেকে আলাদা করে দেখি না। আমি যখন রাশিয়া বিশ্বকাপে কোনো সমস্যার কথা বলি, সেটা দলের সবার হয়ে বলি। তবে আমাকে সমস্যা জানানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়নি এবং আরো অভিজ্ঞ খেলোয়াড় আছেন এসব নিয়ে কথা বলার জন্য।’
আমি সমস্যা বাড়ানোর জন্য বলছি না, আমি শুধু আমার দিক থেকে ইএফএর কর্মকাণ্ড সম্পর্কে বলতে চাই। প্রথমত, তাঁরা মূল সমস্যা যেভাবে আড়াল করেছে, এটি আমি মোটেও পছন্দ করিনি। আমি কিছু চাইলে তা দলের হয়ে চাই। শেষবার জাতীয় দলে খেলার সময় আমি ভোর ৬টায় ঘুমিয়েছিলাম এবং সকালের নাস্তা বা লাঞ্চ করতে রেস্টুরেন্টে যেতে পারিনি। কারণ, এখানে অনেক লোকজন ছিল। ভ্রমণকালীন দলের নিরাপত্তারক্ষী প্রয়োজন ছিল যা আমরা চিঠিতে জানিয়েছি। কিন্তু ইএফএ সাড়া দেয়নি। তারা এটাও বলেছে, আমার ঘরে ভোর ৪টার সময় কেউ ছবি তুলতে নক করেনি। অথচ হোটেলে বা খেলোয়াড়দের কাছে যে কেউ যখন খুশি ছবি তুলতে চাইত।’
দ্বিতীয় এক ভিডিওতে সালাহ বলেন, ‘আমি বাড়তি সুবিধা চাইনি। সারা বিশ্বে এভাবে কাজ করা হয় অথচ ২০১৮ সালে এসেও ইএফএ পুরোনো পদ্ধতিতে পড়ে আছে। আমি জানি, আমাদের প্রত্যেক খেলোয়াড়কে সে সুবিধা দেওয়ার সামর্থ্য আছে। আমি মনে করি হোটেলে একান্ত সময়ে কারো দ্বারা বিরক্ত না হতে চাওয়া যৌক্তিক। আমি এসব বিষয়ে ইএফএর সাথে কথা বলতে চাইলেও তারা সাড়া দেয়নি। তারা আমাদের ইকোনমি ক্লাসে যাতায়াত করায়, যা খুব ক্লান্তিকর। অন্য সব আফ্রিকান দল বিজনেস ক্লাসে ভ্রমণ করে। আমি আবারও বলছি, কেউ পারলে প্রমাণ করুন আমি নিজের সুবিধার জন্য কোনো কিছু বলছি। আমি আমার দলের হয়ে দুঃখ প্রকাশ করছি। আমি দলনেতা নই, কিন্তু কাউকে এগুলো বলতে হতো, এ পর্যন্তই বলব এবং আমি আমার বক্তব্যের সম্পূর্ণ দায় নিতে প্রস্তুত।’
সালাহ মিসরের হয়ে মোট ৫৯ ম্যাচ খেলে ৩৫ গোল করেছেন।