‘ফাইনালে হারলেও মন জয় করেছে মেয়েরা’
সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে রানার্সআপ হয়ে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ দল। পুরো আসরে ভালো খেললেও ফাইনালে ভারতের কাছে ১-০ গোলে হেরে শিরোপা হাতছাড়া করে লাল-সবুজের দল। শিরোপা ধরে রাখতে না পারার কষ্ট থাকলেও সামনের আসরগুলো নিয়ে এখনই মনোযোগী হতে চায় বাংলাদেশের মেয়েরা।
আজ সোমবার সকালে ভুটান থেকে দেশে ফিরে বাংলাদেশ নারী দল। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তহুরা-মারিয়াদের সংবর্ধনা দিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ ও নারী কমিটির চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরন মেয়েদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন।
শিরোপা জিততে না পারলেও দলের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট কোচ গোলাম রাব্বানী ছোটন, ‘ফাইনালে আমরা ম্যাচটি জিততে পারিনি ঠিক, তবে দেশে-বিদেশে মানুষের মন জয় করতে পেরেছে মেয়েরা। তারা প্রতিটি ম্যাচেই তাদের সর্বশক্তি দিয়ে খেলেছে। দলের এই পারফরম্যান্স সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে।’
বাফুফের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর পল স্মলি একটু আগ বাড়িয়ে বলেন, ‘বাংলাদেশের ফুটবলে এখন উৎসবের সময়। ইন্দোনেশিয়ায় এশিয়ান গেমসে ছেলেরা ভালো করছে। ভুটানেও আমাদের মেয়েরা ভালো ফুটবল খেলেছে। এ সবকিছু বলছে, বাংলাদেশের ফুটবল এখন ভালো সময় পার করছে।’
ফাইনালের হারটাকে দূরে ঠেলে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চান অধিনায়ক মারিয়া মান্ডা, ‘ফাইনালের হারটাও ভবিষ্যতের জন্য কাজে আসবে আমাদের। সামনে আমাদের অনেক ম্যাচ আছে, সে লক্ষ্য নিয়ে নিয়েই এখন ভালোভাবে প্র্যাকটিস করব। তাই আশা করছি, ভবিষ্যতে ভালো রেজাল্ট আসবে।’
অবশ্য ফাইনালের একটা হার বাদ দিলে পুরো আসরেই দারুণ ফুটবল খেলেছে বাংলাদেশের মেয়েরা। প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৪-০, দ্বিতীয় ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে ৩-০ গোলে জিতে সেমিতে উঠে মেয়েরা। আর সেমিতে ভুটানকে ৫-০ গোলে হারিয়েই ফাইনালে উঠেছিল তারা। তবে ফাইনালে গিয়ে আর পারেনি।
তবে এর আগে কয়েকটি আসরে বাংলাদেশের মেয়েদের সাফল্য ছিল চোখে পড়ার মতো। ২০১৪ সালে নেপালে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৪ আঞ্চলিক চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথম শিরোপা জিতেছিল। এরপর তাজিকিস্তানে একই টুর্নামেন্টে শিরোপা জেতে। এরপর ঢাকায় এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ বাছাইপর্বে, গত বছর ঢাকায় সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ চ্যাম্পিয়নশিপে এবং গত এপ্রিলে হংকংয়ে চারজাতি জকি কাপে শিরোপা জিতেছিল তারা।