ইমরান খানের জন্য ‘কাশ্মীরি শাল’ উপহার সিধুর
পাকিস্তানের ২২তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন ইমরান খান। তাঁর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে সমসাময়িক ক্রিকেটারদের মধ্যে রমিজ রাজা, ওয়াসিম আকরাম এবং ভারত থেকে উপস্থিত হয়েছিলেন নভজোৎ সিং সিধুও। ভারতীয় সাবেক এই ক্রিকেটার পাক নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীর জন্য উপহারও নিয়ে গেছেন।
জিও টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সিধু বলেন, ‘আমি আমার বন্ধুর (ইমরান খান) আমন্ত্রণে পাকিস্তানে এসেছি। এগুলো বিশেষ কিছু মুহূর্ত। হিন্দুস্তান জিইয়ে, পাকিস্তান জিইয়ে!’ সিধু জানান, তিনি ভারতের একজন প্রতিনিধি হিসেবে ‘ভালোবাসার বার্তা’ নিয়ে এসেছেন। শুধু ভালোবাসা নয়, ইমরান খানের জন্য একটি কাশ্মীরি শালও নিয়ে গেছেন তিনি।
আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল কপিল দেব ও সুনীল গাভাস্কারকেও। কিন্তু গত সপ্তাহে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে কপিল দেব শপথ গ্রহণে থাকতে পারবেন না বলে জানান। ভারত ও ইংল্যান্ড টেস্ট সিরিজে ধারাভাষ্যের জন্য গাভাস্কারও যোগদান করতে পারবেন না বলে আগেই জানিয়েছিলেন। তবে শপথ গ্রহণে আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান কামার জাভেদ বাজওয়া, পাঞ্জাব এসেম্বলির নবনির্বাচিত স্পিকার চৌধুরী পারভেজ এলাহী, গায়ক সালমান আহমেদ এবং পাকিস্তানি অভিনেতা জাভেইদ শেখ উপস্থিত ছিলেন।
তবে পাকিস্তানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত জানানোর পরই সমালোচিত হয়েছিলেন সিধু। এবার সমালোচিত হয়েছেন আজাদ কাশ্মীরের রাষ্ট্রপতি মাসুদ খানের পাশে গিয়ে বসায়। কাশ্মীর ইস্যু ভারত-পাকিস্তানের ঐতিহাসিক দ্বন্দ্বের একটি প্রধান কারণ। তাই ভারতে তো বটেই, এমনকি স্বয়ং জম্মু-কাশ্মীর কংগ্রেসের অনেকেই ভালোভাবে নেননি বিষয়টিকে। জম্মু-কাশ্মীর কংগ্রেসের প্রধান গোলাম আহমেদ মীর তো মন্তব্যই করে বসলেন, ‘তিনি একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি এবং একজন মন্ত্রী। শুধু তিনিই বলতে পারবেন কেন তিনি সেখানে বসেছিলেন। তবে তিনি অন্য কোথাও বসতে পারতেন।’ সামনে পাকিস্তান এবং ভারতের মধ্যকার রাজনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়ন হবে কি না তা সময়ই বলে দেবে। কিন্তু ক্রিকেট যে সবকিছুর ঊর্ধ্বে একটি ভ্রাতৃত্বের বন্ধন গড়ে তুলেছে, সিধুর উপস্থিতি তারই প্রমাণ।