আরেকটি যুদ্ধের জন্য মঞ্চ প্রস্তুত। লর্ডসে মুখোমুখি হচ্ছে ভারত ও ইংল্যান্ড। তাই দুই অধিনায়ক বিরাট কোহলি ও জো রুট লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত। একজন খাদের কিনারা থেকে দলকে জিততে দেখেছেন এবং আরেকজন বুঝতে পেরেছেন, ঐতিহাসিক এক জয়ের খুব কাছাকাছি গিয়েও হেরেছে। এজবাস্টন টেস্টে ইংল্যান্ড হারলে লর্ডসে যে ভারত অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী এবং উজ্জীবিত থাকত, তা বলা বাহুল্য। তবে এটা শুধু মাঠের খবর। মাঠের বাইরে ঘটেছে আরো অনেক কিছু। ইংল্যান্ডের পত্রিকাজুড়ে বেন স্টোকসের ট্রায়ালের খবর। অর্থাৎ স্বাগতিকদের একজন না থাকার সম্ভাবনা। গত দুই দিনেই দুবারের সংবাদ সম্মেলনে ‘ট্রায়াল নিয়ে কোনো প্রশ্ন নয়’ বলে শুরু করেছে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল। 

স্টোকসের না থাকা মানেই দুই বা তিনজন খেলোয়াড়কে দিয়ে তাঁর অভাব পূরণ করতে হবে বলে মনে করেন দলের কোচ ট্রেভর বেলিস। এবং সঙ্গে প্রশ্ন উঠেছে দলের সমন্বয় নিয়েও। স্যাম কিউরানকে কি ব্যাট হাতে বিশ্বাস করা যায়? অলরাউন্ডার হিসেবে দলে থাকা ক্রিস ওকস, মইন আলি কি ব্যাট ও বল হাতে ভালো করতে পারবেন?

স্টোকসের অভাব পূরণ করতে ইংল্যান্ড দল যেমন কয়েকজনের কাছে ভালো ইনিংস আশা করবে, এদিক থেকে ভারত তাঁদের টপঅর্ডার নিয়ে চিন্তামুক্ত। প্রথম টেস্টে সবার আসা-যাওয়ার মধ্যে বিরাট কোহলি বলতে গেলে একাই ক্রিজে থেকে দলকে টেনে তুলেছেন। চেতেশ্বর পুজারা সুযোগ পেয়ে নিজেকে প্রমাণ করতে চাইবেন। তাই ভারত তাদের টপঅর্ডারের কাছ থেকে একটি ভালো সংগ্রহ পেতে চাইবে।

কোহলির বক্তব্য অনুযায়ী, পিচ কঠিন এবং ঘাস রয়েছে। এমন পিচে খেলার জন্য ভারত কুলদীপ যাদব বা রবীন্দ্র জাদেজাকে খেলানোর কথা ভাবতে পারে। তবে পর্যন্ত দুই দলই কারা খেলবেন, সে ব্যাপারে সুস্পষ্ট মন্তব্য করেনি। খেলার আগে পিচ দেখে দুই দল তাঁদের সেরা এগারো জন নিয়ে মাঠে নামবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

প্রথম টেস্টে ভালো খেলেও হেরেছে, দ্বিতীয় টেস্টে ভালো কিছু করার তাড়না নিয়েই মাঠে নামবে ভারত। তবে ইংল্যান্ড দল খেলবে নির্ভারভাবে। দুই দলের ভেতরে কাজ করবে আশঙ্কা, বিভিন্ন সিদ্ধান্তহীনতা। হয়তো লর্ডস আছে আরেকটি ইতিহাসের অপেক্ষায়। দ্বিতীয় টেস্ট আনতে পারে সবচেয়ে লম্বা এই ক্রিকেট ফরম্যাটের জন্য নতুন কোনো উদ্দীপনা।