যে রেকর্ড গড়ছেন সাকিব-তামিম
বাংলাদেশের চিরাচরিত স্বভাব হঠাৎ করেই কয়েকটি উইকেট হারিয়ে বসা। দলীয় ১ রানে এনামুল হকের বিদায়ের পর কিন্তু ক্যারিবিয়ান পেসারদের আর কোনো সুযোগ না দিয়ে সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল করেছেন রেকর্ড জুটি। দ্বিতীয় উইকেটে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ২০৭ রানের জুটি গড়েছেন তাঁরা। শুধু তাই নয়, সব উইকেটে এটি বাংলাদেশের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এই রেকর্ডের তোড়ে শুধু টিকে আছে গত বছর কার্ডিফে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাহমুদউল্লাহ ও সাকিব আল হাসানের পঞ্চম উইকেটে গড়া ২২৪ রানের জুটি।
কিছু আক্ষেপ, না পাওয়া তো আছেই। এই যেমন, সাকিব আল হাসানের সেঞ্চুরি আর সব উইকেট নিতে না পারার আক্ষেপ বাংলাদেশের ভক্তদের মনে উঁকি দিতেই পারে। অনেকের কাছে তামিমের শ্লথগতির শতক মনে হতে পারে বিরক্তিকর। কিন্তু তামিম-সাকিব যা করেছেন, পিচ এবং বাংলাদেশ দলের অবস্থা বিবেচনা করেই করেছেন। এর প্রমাণও দিয়ে গেলেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জুটি গড়ার মাধ্যমে। দুই নম্বরে নেমেও তামিমের চেয়ে দ্রুত রান করছিলেন সাকিব আল হাসান। দুজনই একই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সেঞ্চুরির দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। দুজনের স্কোর তখন ৯৭। দেবেন্দ্র বিশুর ঘূর্ণি বলটি সুইপ করতে গিয়ে শিম্রন হ্যাটমিয়ারের হাতে তালুবন্দি হয়ে সাজঘরে ফেরেন সাকিব। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে প্রথম শতক অধরাই রয়ে গেল সাকিবের। ৯৭ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংসটি খেলতে ছয় চারে এই বাঁহাতি খেলেছেন ১২১ বল। কিন্তু ৩৮তম অর্ধশতক হিসেবে ইনিংসটি যোগ হয় সাকিবের ঝুলিতে।
কিন্তু একই ভুল করেননি তামিম ইকবাল। পরের ওভারের প্রথম বলেই আলজারি জোসেফের অফস্টাম্পের বাইরে করা বলটি অফসাইডে ঠেলে দিয়েই এক রান নিয়ে অর্জন করেন ক্যারিয়ারের দশম সেঞ্চুরি। ১৪৬ বলে তামিম সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন, যা কোনো বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানের সবচেয়ে বেশি বল খেলে সেঞ্চুরি। শেষ দুই ওভারে তামিম ঝড়ো ব্যাটিং করে দ্রুতই ১৩০ রানে পৌঁছে যান। ১৬০ বলে ১০টি চার ও তিন ছয়ের সাহায্যে তিনি তাঁর ইনিংসটি সাজিয়েছেন। এর পরে মুশফিকের ১১ বলে খেলা ৩০ রানের ঝড়ো ইনিংস বাংলাদেশকে এনে দেয় চ্যালেঞ্জিং বড় সংগ্রহ।