১৯ বছরের যে তরুণ কাঁপিয়ে দিলেন আর্জেন্টিনাকে
বয়স তাঁর মাত্র ১৯ বছর। সম্ভাবনাময় ফুটবল ক্যারিয়ারটা শুরু করলেন কেবলই। আর এরই মধ্যে কিলিয়ান এমবাপে যে দুর্দান্ত ঝলকটা দেখালেন, তাতে আগামীর উজ্জ্বল তারকা হিসেবে যে তাঁকেও ফুটবল আকাশে দেখা যাবে, তা নিঃসন্দেহেই বলা যায়। লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনাকে আজ অনেকটা একাই যেন হারিয়ে দিলেন ১৯ বছর বয়সী এই তরুণ ফুটবলার।
আর্জেন্টিনার বিপক্ষে এমবাপে নিজে করেছেন দুটি গোল। ফ্রান্স প্রথম গোলটিও পেয়েছিল তাঁরই দুর্দান্ত নৈপুণ্যের সুবাদে। ১৩ মিনিটের মাথায় মাঝমাঠ থেকে অসাধারণ এক দৌড় দিয়ে ছিলেন এমবাপে।
কাউকে কোনো পাস না দিয়ে নিজেই ঢুকে গিয়েছিলেন আর্জেন্টিনার ডিবক্সে। কিন্তু সেখানে তিনি হন ফাউলের শিকার। বেজে ওঠে রেফারির বাঁশি। পেনাল্টি। সেই পেনাল্টি থেকে গোল করেই দলকে ১-০ গোলে এগিয়ে দেন অ্যান্তোনিও গ্রিজম্যান। প্রথমার্ধেই ডি মারিয়ার গোলে ম্যাচে সমতা ফিরিয়েছিল আর্জেন্টিনা।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে এগিয়েও যায় লিওনেল মেসির দল। কিন্তু অসাধারণভাবে জ্বলে ওঠেন এমবাপে। ৫৭ মিনিটে ২-২ গোলে সমতা ফেরান পাভার্ড। আর ৬৪ ও ৬৮ মিনিটে পরপর দুটি গোল করে দলকে জয়ের পথে অনেকখানি এগিয়ে দেন এমবাপে। দুটি গোলই যে জরুরি ছিল সেটাও খুব ভালোমতো টের পাওয়া গেল ম্যাচের শেষপর্যায়ে। ৯০ মিনিটের পর যোগ করা অতিরিক্ত সময়ে আর্জেন্টিনার পক্ষে একটি গোল করে বসেছিলেন সার্জিও আগুয়েরো। এমবাপে সেসময় দুটি গোল না করলে তখনই ম্যাচে ফিরত সমতা।
শেষপর্যন্ত ৪-৩ গোলের অসাধারণ এক জয় নিয়ে ফ্রান্স চলে গেছে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে। আর আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে শিরোপার পথে বড় একটা বাধা পেরোনোর পেছনে প্রধান ভূমিকা হিসেবে লেখা থাকবে এমবাপের নাম। বাকি ম্যাচগুলোতেও নিশ্চয়ই আলো ছড়াবেন ১৯ বছরের এই তরুণ।