দুজনেই এ সময়ের সেরা ফুটবলার। ৮-১০ বছর ধরেই ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কারটা ঘুরছে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো আর লিওনেল মেসির হাতে। দুজনেই চলে এসেছেন বর্ণিল ক্যারিয়ারের প্রায় শেষপ্রান্তে। ৩০ পেরিয়ে দুজনেই অংশ নিয়েছেন এবারের বিশ্বকাপে। ধারণা করা হচ্ছে দুজনই হয়তো শেষবারের মতো খেলছেন ফুটবলের সবচেয়ে বড় এই আসরে।

ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর পর্তুগাল বিশ্বকাপ জিতবে-এমন আশা হয়তো খুব বেশি মানুষের নেই। পর্তুগাল মানে যেন শুধুই রোনালদো। সত্যিই যে ব্যাপারটা সেরকমই- সেটাও খুব দারুণভাবে প্রমাণ করেছেন রিয়াল মাদ্রিদের এই তারকা। অন্যতম ফেভারিট স্পেনের বিপক্ষে দুর্দান্ত এক হ্যাটট্রিক করে রোনালদো কেড়ে নিয়েছেন সবটুকু আলো। দলকে জেতাতে না পারলেও দারুণ এই হ্যাটট্রিক করে প্রতিপক্ষ দলগুলোর দিকে হুঙ্কার ছুঁড়ে দিয়েছেন রোনালদো। দেখিয়ে দিয়েছেন যে, তিনি একাই প্রতিপক্ষকে গুঁড়িয়ে দিতে পারেন।

পর্তুগালের মতো আর্জেন্টিনা দলও অনেক বেশি মাত্রায় নির্ভরশীল মেসির ওপর। দলে সার্জিও আগুয়েরো, অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়ার মতো অভিজ্ঞ তারকারা থাকলেও আর্জেন্টিনার ম্যাচ শুরুর হলে সবারই নজর আলাদাভাবে থাকে মেসির দিকে। তাঁর জাদুকরী পা দুটির দিকে। আজ আইসল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হতে যাচ্ছে মেসি-আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ মিশন।

মেসির চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রোনালদো বিশ্বকাপের সূচনাটা করেছেন দুর্দান্তভাবে। এবার মেসি কেমন করেন- তা জানতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন ফুটবলপ্রেমীরা। রোনালদোর শুরুটা ভালো হওয়ায় মেসির ওপর কিছুটা চাপও থাকবে বলে মনে করছেন ইংল্যান্ডের সাবেক তারকা ফার্দিনান্দ। বিবিসির এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, ‘রোনালদোর খেলা দেখার পর মেসির কাঁধে নিশ্চিতভাবেই কিছুটা চাপ এসে পড়ছে।’

সেই চাপ সামলে মেসি নজর কাড়তে পারবেন কি না- তা জানার জন্য চোখ রাখতে হবে আইসল্যান্ডের বিপক্ষে আর্জেন্টিনার ম্যাচটির দিকে। বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টায় শুরু হতে যাচ্ছে ম্যাচটি।